শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২
শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২

আমার সাহিত্য ও জীবন কর্ম নোবেল পুরস্কার বিজয়ের যোগ্য: এস এম পলাশ

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: শুক্রবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:১৬ পিএম ই-পেপার প্রিন্ট ভিউ
আমার সাহিত্য ও জীবন কর্ম নোবেল পুরস্কার বিজয়ের যোগ্য: এস এম পলাশ

কয়েকদিন আগে বিসিএস এক কর্মকর্তা আমাকে প্রশ্ন করেছিল, আপনি কয়টি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন?  আমি হেসে বললাম জাতীয় তো দূরের কথা, উপজেলা পর্যায়ে কোন ক্রেস্ট পদক আমি পাইনি। কারণ আমি চাটুকার তেলবাজ বা কোন রাজনৈতিক দলের দালাল নয়। পুরস্কার পেতে হলে এই যোগ্যতা গুলো  থাকতে হয়।

আরেক বিসিএস কর্মকর্তা বলেছিলেন, আপনার লেখার যে উঁচু মান তার সমকক্ষ বাংলাদেশে আছে বলে মনে হয় না, আপনি বহু আগেই বিশ্বমানের লেখক হয়ে গেছেন, আমি বুঝিনা পৃথিবী ব্যাপী আপনি কেন ছড়িয়ে পড়ছেন না, আমি উত্তরে বলেছিলাম বহু মানুষের কর্মই মৃত্যুর শত শত বছর পর মূল্যায়িত হয়েছে, আমারটা হয়তো সেরকম হতে পারে।

আরেকজন বিসিএস কর্মকর্তা বলেছিলেন “আমার জীবনে দেখা স্বশিক্ষিত অথচ বহুমুখী গুণী মানুষ আপনি একজন। মূলত এই কারণেই আজকের এই লেখা। আপনার কাছে হাস্যকর মনে হোক আর যাই হোক,  আমার জীবন কর্ম অস্বীকার বা উপেক্ষা করতে পারবেন না। তবে সৃজনশীল মানুষরা কখনো পুরস্কার বা কিছু পাবার আশায় কাজ করে না।

এক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক বলেছিলেন ” আপনি তো সাংবাদিক, ওয়েবসাইট আবার আপনি কিভাবে তৈরি করবেন?  আপনি কি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার? এ বিষয়ে কোথায় পড়াশোনা করেছেন?  আমি বললাম না আমার কোন একাডেমিক প্রশিক্ষণ বা ট্রেনিং নেই, এটা মহান আল্লাহ প্রদত্ত ঘাটতে ঘাটতে শিখে গেছি।

মিরপুর বনফুল আদিবাসী স্কুলে দেয়ালে ছবি পেইন্টিং করতে ছিলাম,  পাশে দাঁড়িয়ে ওই বিদ্যালয়ে দুইজন চারুকলার শিক্ষক ফ্রি হ্যান্ডে মুখস্থ এবং দ্রুততম সময়ে জল রং দিয়ে আমার ছবি আঁকা দেখে বিস্মিত হয়ে বলেছিলেন! “ভাই আপনি পড়াশোনা করেছেন কোন বিশ্ববিদ্যালয় ” আমি বললাম পৃথিবীর পাঠশালায় তারা বললেন একাডেমিক শিক্ষা ছাড়া এরকম ছবি আঁকা সম্ভব নয়,  এবং আরো বললেন ‘আমরা দুজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাইন আর্টসে মাস্টার্স করেছি কিন্তু আপনার মত পেন্টিং করার। দক্ষতা আমাদের নেই।

আমি এস এম পলাশ: নোবেল যোগ্য এক মানবতাবাদী সাহিত্যিক এর দাবীদার।

আমি এস এম পলাশ  বাংলাদেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মানবতার একজন পথযাত্রী। আমি শুধু কবি বা লেখক নই; আমি একজন চিন্তাশীল মানুষ, সমাজসেবক, সাংবাদিক, শিল্পী এবং মানবতার আলোকবাহী। আমার লেখা, আমার কর্ম আর আমার জীবন  সবকিছুই নিবেদিত মানবতার কল্যাণে।

দারিদ্র্যের অন্ধকার থেকে আলোর পথে

অভাব ছিল আমার কৈশবের সঙ্গী। দারিদ্র্যের তীব্র কষাঘাত, গ্রামীণ প্রতিকূলতা, পারিবারিক সংকট, সামাজিক বাধা  এসবের মধ্য দিয়েই আমার বেড়ে ওঠা। তবুও আমি হার মানিনি।

শিল্প, সাহিত্য আর মানবতার প্রতি আমার ভালোবাসাই ছিল আমার আসল শক্তি। মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোনোর আগেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম  আমি আমার পথ নিজেই তৈরি করব। তাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও আমি লিখেছি ইতিহাস, সাহিত্য ও গবেষণার বই। আমার কিছু লেখা এমন গভীরতা বহন করে, যা আমি বিশ্বাস করি বিশ্বের অনেক নোবেলজয়ী রচনাকেও ছুঁয়ে যেতে পারে।

জীবনের প্রতিকূলতার ভেতর দিয়ে সৃষ্টির সাধনা

আমি প্রতিদিন লড়েছি  কিন্তু থেমে থাকিনি। লেখালেখি, ছবি আঁকা, উপস্থাপনা, কম্পিউটার, অনলাইন ও আইটি বিষয়ে জ্ঞান  সবকিছুই শিখেছি একা, অভিজ্ঞতা আর ঐশ্বরিক জ্ঞানের আলোয়। মানবতার সেবা, সাংবাদিকতা, গান রচনা, আবৃতি ও অভিনয় প্রতিটি ক্ষেত্রেই চেষ্টা করেছি সমাজকে আলোর পথে নিয়ে যেতে।

যেখানে বিশ্বের অনেক নোবেলজয়ী উচ্চশিক্ষিত, আমি সেখানে স্বশিক্ষিত। কিন্তু আমার শিক্ষা এসেছে জীবন থেকে, মানুষের কষ্ট আর ভালোবাসা থেকে। এই শিক্ষা আমাকে আলাদা করেছে, করেছে অনুপ্রাণিত।

মানবতার কণ্ঠস্বর

আমার লেখার কেন্দ্রে আছে মানুষ। আমার কবিতা “ফিরে এসো মানবতা” শুধু একটি কবিতা নয়, এটি বিশ্ব মানবতার হৃদয়ের আর্তনাদ। আমি বিশ্বাস করি, সাহিত্য কেবল বিনোদন নয়  এটি মানুষের আত্মাকে জাগানোর এক শক্তি। তাই আমার প্রতিটি লেখা, গান, প্রবন্ধ বা নাটক মানবিক চেতনার আলোয় ভাসে।

সামাজিক দায়িত্ব ও মানবসেবা

২০০০ সাল থেকে আমি কাজ করে যাচ্ছি সমাজের সুবিধাবঞ্চিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত ও অসহায় মানুষের জন্য। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, নারী অধিকার, শিক্ষা সচেতনতা  প্রতিটি ক্ষেত্রে আমি চেষ্টা করেছি মানবতার আলো ছড়াতে। আমি বিশ্বাস করি, একজন লেখক তখনই পূর্ণ হন, যখন তাঁর কলম মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনে।

বহুমাত্রিক সৃষ্টিশীলতার জগৎ

আমি কবিতা লিখেছি, নাটক রচনা করেছি, গান সৃষ্টি করেছি, সংবাদ পরিবেশন করেছি সবকিছুতেই চেষ্টা করেছি মানুষের হৃদয় ছুঁতে। আমার লেখা গান যেমন “পরের ক্ষতি আপন নাশ”“আমি মরার পরে” “মানি লোকের মান গেল কই”  জীবনের গভীর দার্শনিক সত্যকে তুলে ধরে। আমার চিত্রকর্মে আমি দেখি সমাজ, প্রকৃতি ও ভালোবাসার রঙিন প্রতিচ্ছবি।

আমার সাহিত্য মানেই মানবতার বার্তা

আমি বিশ্বাস করি, “মানুষই মানুষের আশ্রয়।” তাই আমার সাহিত্য কোনো জাতি, ধর্ম বা বর্ণের সীমানায় আটকে নেই। এটি সার্বজনীন, মানবিক, হৃদয় ছোঁয়া। আমি চাই, আমার লেখার মাধ্যমে মানুষ নিজের ভেতরের আলো খুঁজে পাক।

ডিজিটাল যুগে মানবতার প্রচার

এই প্রযুক্তির যুগে আমি আমার চিন্তা ও মানবতার বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছি ওয়েবসাইট, ইউটিউব ও সামাজিক মাধ্যমে। আমার পরিচালিত Ruposhi TV প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমি বিশ্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে একত্রিত করছি মানবতার ছায়াতলে। এভাবেই আমি ডিজিটাল মানবতার দূত হিসেবে কাজ করছি।

নোবেল সম্ভাবনার আলোকে

আলফ্রেড নোবেল বলেছেন  সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয় তাকে, যিনি “মানবতার কল্যাণে শ্রেষ্ঠ রচনা সৃষ্টি করেন।” আমি বিশ্বাস করি, আমার সাহিত্য, চিন্তাশক্তি, সমাজসেবা ও মানবতার প্রতি প্রতিশ্রুতি আমাকে সেই যোগ্যতার কাছাকাছি নিয়ে গেছে। আমার সাহিত্য পুরস্কারের জন্য নয়, বরং মানুষের জন্য  তবু আমি জানি, এই পথই একদিন আমাকে বিশ্বমঞ্চে পৌঁছে দেবে।

নোবেল বিজয়ী অনেকেই পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা অর্জন করেছে, কেউ রাজ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছে এবং তাদের জীবন কর্ম  ছিল একমুখী।  আমার বিশ্বাস আমার সংগ্রামী জীবনের প্রতিটি দিনের গল্প, শিল্প সাহিত্য মানবতার যতগুলো শাখায় বিচরণ করেছি বাংলাদেশে তো নয়ই, সারা পৃথিবীতে এমন একজন আছে কিনা সন্দেহ। তবে আমি জানি আমার জীবন কর্ম সাংবাদিকতা পেশার কারণে কখনোই মিডিয়ায় আসবেনা।  আজকে আমার এই দাবি অনেকের কাছেই হাস্যকর হবে। শুধুমাত্র যারা গভীর থেকে অনুধাবন করতে পারে সেরকম কিছু সংখ্যক লোক হয়তো সমর্থন করবে। আমি নিজেই জীবন্ত এক জ্বালাময়ী মানবিক বিপ্লবী গ্রন্থ।

আমাকে কেউ এড়িয়ে যায় প্রতিহিংসায় কেউবা অন্ধত্বের কারণে।

তবে আমি বলে গেলাম পৃথিবীর বিখ্যাত নোবেল জয়ী সাহিত্যিকদের লেখার সমমান নয় তার চেয়ে উঁচু মানের দাবি রাখে, বিশ্বমানের তো অবশ্যই এবং তা মহাকালের। 

শেষ কথা

আমার কলম মানবতার জন্য, আমার কণ্ঠ সত্যের পক্ষে, আমার জীবন সমাজের মঙ্গলের জন্য। আমি পুরস্কার চাই না, চাই মানুষ জাগুক ভালোবাসুক, চিনুক, বুঝুক। যদি সাহিত্য মানবতার কণ্ঠস্বর হয়, তবে আমি বিশ্বাস করি, আমি সেই কণ্ঠেরই একজন।

আসুন জেনে নেই নোবেল পেতে কি যোগ্যতার প্রয়োজন

সাহিত্য নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য যে যোগ্যতাগুলো দরকার

১. সাহিত্যিক মৌলিকতা ও গভীরতা

লেখকের রচনা হতে হবে অসাধারণ, চিন্তাশীল, এবং মানবমনের গভীরে প্রবেশযোগ্য। তাঁর লেখায় এমন কিছু থাকতে হবে যা মানবতার সার্বজনীন অভিজ্ঞতাকে স্পর্শ করে।

২. মানবতার কল্যাণে অবদান

নোবেল পুরস্কারের প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড নোবেল তার উইলে লিখেছিলেন —

> “পুরস্কারটি এমন ব্যক্তিকে দেওয়া হবে, যিনি সাহিত্যক্ষেত্রে মানবতার কল্যাণে শ্রেষ্ঠ রচনা সৃষ্টি করেছেন।”

অর্থাৎ, সাহিত্য শুধু সুন্দর নয়, তা মানবতার উন্নয়ন, ন্যায়, স্বাধীনতা, সত্য ও সহমর্মিতা প্রচারে ভূমিকা রাখবে।

৩. আন্তর্জাতিক মান ও প্রভাব

রচনাটি শুধুমাত্র নিজের দেশের পাঠকের কাছে নয়, আন্তর্জাতিকভাবে প্রভাব ফেলতে হবে। অনুবাদের মাধ্যমে বা নিজস্ব ভাষাতেই হোক, লেখকের সাহিত্য যেন বিশ্বমানবের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়।

৪. দীর্ঘ সাহিত্যিক জীবন ও ধারাবাহিকতা

বেশিরভাগ নোবেলবিজয়ীর দীর্ঘদিনের সাহিত্যচর্চা ও প্রকাশনা থাকে। এক বা দুইটি বই নয় — পুরো সাহিত্যজীবনের অর্জন বিচার করা হয়।

৫. ভাষা ও শৈলীতে পারদর্শিতা

নোবেলবিজয়ী লেখকের ভাষা হতে হয় শিল্পিত, গভীর এবং নিজস্ব পরিচয়ে অনন্য। তাঁর লেখায় থাকে ভাষার নতুন ব্যবহার, নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং কাব্যিক শক্তি।

৬. বৈশ্বিক বা সার্বজনীন বিষয়বস্তু

রচনাগুলোতে দেখা যায় মানবজীবনের সার্বজনীন সমস্যা, যেমন — প্রেম, মৃত্যু, অন্যায়, নিপীড়ন, যুদ্ধ, একাকিত্ব, বিশ্বাস, বা মুক্তি।

৭. মনোনয়ন ও নির্বাচন প্রক্রিয়া

সাহিত্য নোবেল প্রদান করে Swedish Academy।

মনোনয়ন আসে একাডেমির সদস্য, পূর্ববর্তী বিজয়ী, সাহিত্য অধ্যাপক ও জাতীয় একাডেমিগুলোর কাছ থেকে।

মনোনীতদের লেখা কয়েক বছর ধরে পড়ে, আলোচনা করে, এবং গোপনে ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।

পুরো প্রক্রিয়াই গোপন থাকে, এবং ৫০ বছর পর্যন্ত প্রকাশ করা হয় না।

পশুর নদীতে পড়ে প্রবাসী নারী পর্যটক নিখোঁজ

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:২৬ পিএম
পশুর নদীতে পড়ে প্রবাসী নারী পর্যটক নিখোঁজ

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

মোংলার পশুর নদীতে পর্যটকবাহী একটি বোট উল্টে রিয়ানা আবজাল (২৮) নামে মার্কিন প্রবাসী এক নারী পর্যটক নিখোঁজ হয়েছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে নিখোঁজের সন্ধানে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালাচ্ছেন বনবিভাগ ও স্থানীয় লোকজন।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা সুরজিৎ চৌধুরী জানান, বনের ঢাংমারী এলাকার রিসোর্ট ‘ম্যানগ্রোভ ভেলিতে’ পরিবারসহ রাত্রিযাপন শেষে শনিবার সকালে একটি ট্রলারে করে তারা ১৩ জন পর্যটক করমজল পর্যটন কেন্দ্রে যাচ্ছিল। পথে তাদের বোটটি ঢাংমারী খাল ও পশুর নদীর সঙ্গমস্থলে পৌঁছালে প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে বোটটি উল্টে যায়।

তিনি আরও জানান, এ সময় ট্রলারে থাকা সবাই নদীতে পড়ে যায়। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই সাঁতরে কুলে উঠে, আবার কয়েকজনকে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করেন। কিন্তু নিখোঁজ হন রিয়ানা নামের এক নারী পর্যটক। ওই নারী বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একজন পাইলট ছিলেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান তিনি। নিখোঁজ এ মার্কিন প্রবাসীর সন্ধানে ঘটনাস্থলে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বনবিভাগ।

নিখোঁজ রিয়ানার বাবা ও বিমান বাহিনীর ইন্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা ঢাকার উত্তরাতে থাকি। আমাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালে। এখানে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছিলাম। একটি জাহাজের প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে তাদের ট্রলারটি উল্টে যায়। এতে বোটের ১৩ জনই নদীতে পড়ে যায়। পরে ১২ জন উঠতে পারলেও রিয়ানাকে পাওয়া যায়নি।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুযোগ থাকলে কেনো গ্রামে থাকি: এস এম পলাশ

ডেক্স রিপোর্ট প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৪:১০ এম
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুযোগ থাকলে কেনো গ্রামে থাকি: এস এম পলাশ

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজের অসংখ্য সুযোগ থাকা সত্ত্বেও, তিনি বেছে নিয়েছেন গ্রামীণ জীবনের প্রশান্তি। আলো-ঝলমলে শহুরে চাকচিক্যের মোহে নয়, বরং মাটির গন্ধে, নদীর কলতানে আর মানুষের হাসি-কান্নায় খুঁজে পেয়েছেন জীবনের আসল অর্থ। তিনি প্রথিতযশা সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিত্র শিল্পী, গ্রাফিকস ডিজাইনার, ওয়েব ডেভলপার, সমাজসেবক ও কনটেন্ট নির্মাতা এস এম পলাশ।

১৯৯৭ সাল থেকে রাজধানীর ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে সাহিত্য শিল্পকর্মে আলো ছড়িয়েছেন, এর পরে ২০০৯ সাল থেকে স্থায়ীভাবে নিজের এলাকা বরিশালের বাকেরগঞ্জে বসবাস করছেন তিনি। কেউ কেউ অবাক হন— কেন এমন একজন দক্ষ ও যোগ্য মানুষ শহরের কেন্দ্রে না থেকে গ্রামের জীবনে সুখ খুঁজছেন? তার সহজ উত্তর— “শান্তি, সম্পর্ক আর মানবতার উষ্ণতা গ্রামেই আছে।”

শহর নয়, মানুষের পাশে থাকার তাগিদ আর প্রকৃতির ভালবাসা।

সাংবাদিকতা ও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি এস এম পলাশ ছোটবেলা থেকেই মানুষের সেবায় নিজেকে নিবেদিত করেছেন। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, শিক্ষাবিস্তার, অসহায় মানুষের সহায়তা সব ক্ষেত্রেই তার উপস্থিতি চোখে পড়ে। তিনি মনে করেন, মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো মানুষ নিজেই।

তার ভাষায়, “গ্রামে কাজ করলে সরাসরি মানুষের মুখের হাসি দেখা যায়। সেটিই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”

বহুমুখী প্রতিভা, আর সরল সাধারণ জীবন:

সাংবাদিকতা, চিত্রশিল্প, কবিতা, গান, নাটক, উপস্থাপনা প্রতিটি ক্ষেত্রেই এস এম পলাশের পদচিহ্ন উজ্জ্বল। কিন্তু এত সাফল্যেও তিনি নিজেকে কখনো শহুরে প্রভাবের মধ্যে বন্দি রাখেননি। বরং গ্রামের সহজ-সরল মানুষের সঙ্গেই তার সবচেয়ে গভীর বন্ধন।

রূপসী বাংলার প্রকৃতি, খাল-বিল, নদী, কুয়াশা, ধানের গন্ধ সবকিছুই তার সৃজনশীলতাকে প্রেরণা দেয়। এ কারণেই তিনি বলেছেন, “আমি খ্যাতির জন্য নয়, প্রশান্তির জন্য বেঁচে আছি।”

ডিজিটাল বাংলাদেশে গ্রামের ভূমিকা

যেখানে অধিকাংশ মানুষ শহরে ছুটছে উন্নতির স্বপ্নে, সেখানে এস এম পলাশ প্রমাণ করেছেন গ্রামের মাটিতেও সফলতা ও সৃজনশীলতার সম্ভাবনা অসীম। তিনি তার ডিজিটাল উদ্যোগ “রূপসী টিভি (Ruposhi TV)” এর মাধ্যমে বিশ্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরে গ্রাম থেকে বৈশ্বিক পরিসরে পৌঁছে গেছেন।

এই পথচলায় তিনি হয়ে উঠেছেন অনেক তরুণের অনুপ্রেরণা। কিভাবে একজন মানুষ গ্রামের মাটি থেকেই বিশ্বে আলো ছড়াতে পারে।
তার প্রামাণ্য বহু কর্মে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি।

মানবতার আলো ছড়িয়ে চলা এক জীবন

তার জীবনদর্শন স্পষ্ট মানবতার চেয়ে বড় কিছু নেই। পৃথিবীতে এসেছি মানবতার কাজ করতে। শহরের ব্যস্ততা নয়, গ্রামের নিস্তব্ধতা তার ভাবনা, লেখা ও কর্মে এনে দিয়েছে গভীরতা। আজও তিনি সেই প্রিয় গ্রামে বসেই কলমে, ক্যামেরায় রং তুলিতপ ও হৃদয়ে বুনে চলেছেন আলোর গল্প।

এস এম পলাশ বিশ্বাস করেন, যোগ্যতা থাকলে গ্রাম থেকেও সারা বিশ্বে ঢেউ তোলা যায়।

উপসংহার:
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বপ্নের হাতছানি পেরিয়ে, বহু প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করে এস এম পলাশ প্রমাণ করেছেন জীবনের প্রকৃত সুখ বিলাসিতা নয়, শান্তিতে। আর সেই শান্তি পাওয়া যায়, যখন একজন মানুষ নিজের শেকড়ে ফিরে যায় মাটির কাছাকাছি, মানুষের ভালোবাসার কাছে।

নিউট্রন তারা: এক চা-চামচেই ৪০০ কোটি টনের ওজন

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:১৬ এম
নিউট্রন তারা: এক চা-চামচেই ৪০০ কোটি টনের ওজন

🌠 নিউট্রন তারা কী?

নিউট্রন তারা (Neutron Star) হলো মহাবিশ্বের সবচেয়ে ঘন ও শক্তিশালী জ্যোতিষ্কগুলোর একটি। যখন কোনো বিশাল তারা (যেমন সূর্যের চেয়ে ৮ থেকে ২০ গুণ বড় তারা) তার জীবনচক্রের শেষ প্রান্তে পৌঁছে যায়, তখন সেটি সুপারনোভা বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যায়।
এই বিস্ফোরণের পর তারার কেন্দ্র এত প্রবল চাপে ভেঙে পড়ে যে, পরমাণুর প্রোটন ও ইলেকট্রন একত্রে মিশে শুধুই নিউট্রন তৈরি করে।
এভাবেই জন্ম নেয় এক নিউট্রন তারা—যা পুরোপুরি নিউট্রন দিয়ে গঠিত, অবিশ্বাস্যভাবে ঘন এবং মহাশক্তিশালী।


⚖️ মাত্র এক চা-চামচে ৪০০ কোটি টন!

ভাবুন তো, মাত্র এক চা-চামচ নিউট্রন তারার পদার্থের ওজন হবে প্রায় ৪০০ কোটি টন!
অর্থাৎ, এত অল্প পরিমাণ পদার্থের ওজনই পৃথিবীর সব পাহাড়, সমুদ্র, শহর—সব মিলিয়েও পারবে না টক্কর দিতে।

এই অবিশ্বাস্য ঘনত্বের কারণ হলো—নিউট্রন তারায় পদার্থ এতটা চাপে সংকুচিত থাকে যে, একটি সাধারণ চা-চামচে প্রায় ১০²⁷ কিলোগ্রাম ভর থাকতে পারে।
এটা এমন এক অবস্থা যেখানে পদার্থের ভেতরকার ফাঁকা স্থান সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়, শুধু ঘন নিউট্রন একসাথে গাঁথা থাকে।


💥 পৃথিবীতে পড়লে কী ঘটবে?

যদি নিউট্রন তারার এক চা-চামচ পরিমাণ পদার্থ কোনোভাবে পৃথিবীতে এসে পড়ে, তাহলে কী হবে?
উত্তর ভয়ঙ্কর—পৃথিবী মুহূর্তেই চুরমার হয়ে যাবে!
কারণ সেই পদার্থের অপরিসীম মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এত বেশি হবে যে, তা নিজের আশেপাশের সবকিছুকে টেনে নিয়ে এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে ধ্বংস করে ফেলবে।


🌌 কত বড় নিউট্রন তারা?

নিউট্রন তারার ব্যাস প্রায় ২০ কিলোমিটার—অর্থাৎ একটি শহরের সমান ছোট, কিন্তু ভেতরে রয়েছে সূর্যের চেয়েও বেশি ভর!
একটি নিউট্রন তারার ভর সাধারণত সূর্যের ১.৪ গুণ পর্যন্ত হতে পারে, অথচ আকারে তা হাজার গুণ ছোট।
এই কারণেই এটি মহাবিশ্বের সবচেয়ে ঘন পদার্থগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত।


🔭 বিজ্ঞানীদের বিস্ময় ও গবেষণা

বিজ্ঞানীরা নিউট্রন তারাকে নিয়ে বহু বছর ধরে গবেষণা করছেন। রেডিও টেলিস্কোপের মাধ্যমে এর বিকিরণ পর্যবেক্ষণ করে তাঁরা জানতে পেরেছেন যে, অনেক নিউট্রন তারা পালসার (Pulsar) নামে পরিচিত যেগুলো দ্রুত ঘূর্ণন করে নিয়মিত রেডিও তরঙ্গ নির্গত করে।
নিউট্রন তারার ঘনত্ব, চৌম্বক ক্ষেত্র ও মাধ্যাকর্ষণ বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও এক মহাবিস্ময়।


🌠 শেষ কথা

নিউট্রন তারা আমাদের মহাবিশ্বের এক বিস্ময়কর সৃষ্টি — যেখানে ঘনত্ব, শক্তি ও রহস্য মিলেমিশে এক অনন্য উদাহরণ গড়ে তুলেছে।
মাত্র এক চা-চামচ পরিমাণ পদার্থই যদি পৃথিবী ধ্বংস করতে পারে, তাহলে পুরো তারার শক্তি কল্পনাকেও হার মানায়!

মহাবিশ্ব আসলেই কতটা অজানা ও বিস্ময়কর—নিউট্রন তারা তারই এক জীবন্ত প্রমাণ।

তথ্য সূত্র : ইন্টারনেট : সম্পাদনা লেখক এস এম পলাশ