আল হিলালের ঐতিহাসিক জয়।
আল হিলালের ইতিহাস ম্যানসিটির বিদায়
আল হিলালের ইতিহাস ম্যানসিটির বিদায়
আল হিলালের ইতিহাস ম্যানসিটির বিদায়। ক্লাব বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে নিয়েছে। শেষ ষোলোর ম্যাচে ইউরোপের শীর্ষ দল ম্যানচেস্টার সিটিকে ৪-৩ গোলে পরাজিত করে তারা কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে। এই জয়ে আল হিলাল প্রমাণ করেছে যে ফুটবলে কৌশল এবং দলগত প্রচেষ্টা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
আল হিলালের ইতিহাস ম্যানসিটির বিদায়
ম্যাচের শুরু থেকেই উভয় দলের মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যায়। মঙ্গলবার সকালে অর্লান্ড সিটির ক্যাম্পিং ওয়ার্ল্ড স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে প্রথম গোলটি ৯ মিনিটে করে ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথমার্ধে এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে আল হিলাল দুর্দান্তভাবে ফিরে আসে। ব্রাজিলিয়ান তরুণ স্ট্রাইকার মার্কোস লিওনার্দো দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই গোল করে সমতা ফেরান। এরপর ৫২ মিনিটে আরেক ব্রাজিলিয়ান ম্যালকমের গোলে আল হিলাল ২-১ গোলে এগিয়ে যায়।
ম্যানচেস্টার সিটির তারকা ফরোয়ার্ড আর্লিং হালান্ড ৫৫ মিনিটে গোল করে ম্যাচ ২-২ সমতায় নিয়ে যান। ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়, যেখানে আল হিলালের দাপট অব্যাহত থাকে। সাবেক চেলসি ডিফেন্ডার কালিদো কাউলিবালি একটি দুর্দান্ত হেডার গোল করে দলকে ৩-২ এগিয়ে দেন। ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন ১০৪ মিনিটে গোল করে আবারও সমতা ফেরান। কিন্তু ১১২ মিনিটে মার্কোস লিওনার্দোর দ্বিতীয় গোলটি আল হিলালকে জয় এনে দেয়, যা ম্যানচেস্টার সিটি শোধ করতে পারেনি।
আল হিলালের ইতিহাস ম্যানসিটির বিদায়
আল হিলালের এই জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন কোচ সিমন ইনজাঘি। ইন্টার মিলানকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে তুলে খ্যাতি অর্জন করা এই কোচ আল হিলালে যোগ দিয়ে দলের কৌশলগত শক্তি বাড়িয়েছেন। ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স ছিল চোখ ধাঁধানো। মার্কোস লিওনার্দোর জোড়া গোল, ম্যালকমের দুর্দান্ত ফিনিশিং এবং রেনান লোদির উইঙ্গ ব্যাক পজিশন থেকে অবদান দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এই জয় আল হিলালের জন্য শুধু একটি ম্যাচ জয় নয়, বরং বিশ্ব ফুটবলে তাদের শক্তির প্রমাণ। ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে তারা এখন নতুন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে।










