শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২
শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২

সারাদেশে শুরু হলো এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৫

দৈনিক সিরাজগঞ্জ টাইমস প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫, ১০:৪১ এম ই-পেপার প্রিন্ট ভিউ
সারাদেশে শুরু হলো এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৫

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু

২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা আজ সারা বাংলাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে। এই পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা তাদের শিক্ষাগত যাত্রায় পরবর্তী ধাপে উন্নীত করবে। প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এবং তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। এই নিবন্ধে আমরা এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর বিস্তারিত তথ্য, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, নির্দেশনা, এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করব।

এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৫: পরীক্ষার্থীর সংখ্যা

এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে:

  • সাধারণ শিক্ষা বোর্ড: ১০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী।

  • মাদ্রাসা বোর্ড (আলিম): ৮৬ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী।

  • কারিগরি বোর্ড: ১ লাখ ৯ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী।

পরীক্ষাগুলো সারা দেশের ২,৭৯৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত বছর (২০২৪) এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৩ জন শিক্ষার্থী, অর্থাৎ এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৮৮২ জন কমেছে।

পরীক্ষার সময়সূচি ও প্রক্রিয়া

  • প্রথম দিন: বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা।

  • তত্ত্বীয় পরীক্ষা: ১০ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত।

  • ব্যবহারিক পরীক্ষা: তত্ত্বীয় পরীক্ষার পর শুরু হবে।

পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে:

  • পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।

  • ওএমআর শিটে সঠিকভাবে তথ্য পূরণ ও বৃত্ত ভরাট করতে হবে।

  • শুধুমাত্র সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে।

  • এমসিকিউ ও সৃজনশীল পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।

  • মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস কেন্দ্রে নিয়ে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

  • তত্ত্বীয়, এমসিকিউ, এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় আলাদাভাবে উত্তীর্ণ হতে হবে।

  • প্রতিটি পরীক্ষায় উপস্থিতি স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক।

নিরাপত্তা ও নকল প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বোর্ডগুলো পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত রাখতে বেশকিছু কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে:

  • প্রশ্নফাঁস প্রতিরোধ: প্রশ্নফাঁসের গুজব রোধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।

  • কোচিং সেন্টার বন্ধ: ১৫ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত সারা দেশে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

  • পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তা: প্রশ্নপত্র গ্রহণের সময় পুলিশ ও থানার ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।

  • সিসিটিভি ও পোস্টার: পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং নকল প্রতিরোধে সচেতনতামূলক পোস্টার লাগানো হয়েছে।

  • জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ: কেন্দ্রের বাইরে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে মাইক ব্যবহার করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্যবিধি ও পরিবেশ নিশ্চিতকরণ

  • মাস্ক বাধ্যতামূলক: পরীক্ষার্থী, কক্ষ পরিদর্শক, এবং সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।

  • হ্যান্ড স্যানিটাইজার: কেন্দ্রে প্রবেশের সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।

  • বিদ্যুৎ ব্যবস্থা: পরীক্ষার সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

  • ঘড়ি ব্যবহার: শুধুমাত্র এনালগ কাঁটাযুক্ত ঘড়ি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সুষ্ঠু পরীক্ষার জন্য ৩৩ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। উল্লেখযোগ্য কিছু নির্দেশনা হলো:

  • প্রতি ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য একজন কক্ষ পরিদর্শক নিয়োগ।

  • শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

  • প্রশ্নপত্র নির্ধারিত সেট অনুযায়ী খোলা হবে, এবং অব্যবহৃত সেট ফেরত পাঠাতে হবে।

আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সমন্বয়ক খন্দকার এহসানুল কবির জানিয়েছেন, পরীক্ষার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব বা পরীক্ষার পরিবেশ নষ্টকারী যেকোনো তৎপরতা কঠোরভাবে দমন করা হবে।

২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের কঠোর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা পরিচালনার প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। শিক্ষার্থীদের প্রতি পরামর্শ, নির্দেশনা মেনে পরীক্ষায় অংশ নিন এবং সাফল্য অর্জন করুন।

পশুর নদীতে পড়ে প্রবাসী নারী পর্যটক নিখোঁজ

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:২৬ পিএম
পশুর নদীতে পড়ে প্রবাসী নারী পর্যটক নিখোঁজ

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

মোংলার পশুর নদীতে পর্যটকবাহী একটি বোট উল্টে রিয়ানা আবজাল (২৮) নামে মার্কিন প্রবাসী এক নারী পর্যটক নিখোঁজ হয়েছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে নিখোঁজের সন্ধানে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালাচ্ছেন বনবিভাগ ও স্থানীয় লোকজন।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা সুরজিৎ চৌধুরী জানান, বনের ঢাংমারী এলাকার রিসোর্ট ‘ম্যানগ্রোভ ভেলিতে’ পরিবারসহ রাত্রিযাপন শেষে শনিবার সকালে একটি ট্রলারে করে তারা ১৩ জন পর্যটক করমজল পর্যটন কেন্দ্রে যাচ্ছিল। পথে তাদের বোটটি ঢাংমারী খাল ও পশুর নদীর সঙ্গমস্থলে পৌঁছালে প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে বোটটি উল্টে যায়।

তিনি আরও জানান, এ সময় ট্রলারে থাকা সবাই নদীতে পড়ে যায়। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই সাঁতরে কুলে উঠে, আবার কয়েকজনকে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করেন। কিন্তু নিখোঁজ হন রিয়ানা নামের এক নারী পর্যটক। ওই নারী বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একজন পাইলট ছিলেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান তিনি। নিখোঁজ এ মার্কিন প্রবাসীর সন্ধানে ঘটনাস্থলে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বনবিভাগ।

নিখোঁজ রিয়ানার বাবা ও বিমান বাহিনীর ইন্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা ঢাকার উত্তরাতে থাকি। আমাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালে। এখানে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছিলাম। একটি জাহাজের প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে তাদের ট্রলারটি উল্টে যায়। এতে বোটের ১৩ জনই নদীতে পড়ে যায়। পরে ১২ জন উঠতে পারলেও রিয়ানাকে পাওয়া যায়নি।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুযোগ থাকলে কেনো গ্রামে থাকি: এস এম পলাশ

ডেক্স রিপোর্ট প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৪:১০ এম
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুযোগ থাকলে কেনো গ্রামে থাকি: এস এম পলাশ

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজের অসংখ্য সুযোগ থাকা সত্ত্বেও, তিনি বেছে নিয়েছেন গ্রামীণ জীবনের প্রশান্তি। আলো-ঝলমলে শহুরে চাকচিক্যের মোহে নয়, বরং মাটির গন্ধে, নদীর কলতানে আর মানুষের হাসি-কান্নায় খুঁজে পেয়েছেন জীবনের আসল অর্থ। তিনি প্রথিতযশা সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিত্র শিল্পী, গ্রাফিকস ডিজাইনার, ওয়েব ডেভলপার, সমাজসেবক ও কনটেন্ট নির্মাতা এস এম পলাশ।

১৯৯৭ সাল থেকে রাজধানীর ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে সাহিত্য শিল্পকর্মে আলো ছড়িয়েছেন, এর পরে ২০০৯ সাল থেকে স্থায়ীভাবে নিজের এলাকা বরিশালের বাকেরগঞ্জে বসবাস করছেন তিনি। কেউ কেউ অবাক হন— কেন এমন একজন দক্ষ ও যোগ্য মানুষ শহরের কেন্দ্রে না থেকে গ্রামের জীবনে সুখ খুঁজছেন? তার সহজ উত্তর— “শান্তি, সম্পর্ক আর মানবতার উষ্ণতা গ্রামেই আছে।”

শহর নয়, মানুষের পাশে থাকার তাগিদ আর প্রকৃতির ভালবাসা।

সাংবাদিকতা ও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি এস এম পলাশ ছোটবেলা থেকেই মানুষের সেবায় নিজেকে নিবেদিত করেছেন। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, শিক্ষাবিস্তার, অসহায় মানুষের সহায়তা সব ক্ষেত্রেই তার উপস্থিতি চোখে পড়ে। তিনি মনে করেন, মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো মানুষ নিজেই।

তার ভাষায়, “গ্রামে কাজ করলে সরাসরি মানুষের মুখের হাসি দেখা যায়। সেটিই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”

বহুমুখী প্রতিভা, আর সরল সাধারণ জীবন:

সাংবাদিকতা, চিত্রশিল্প, কবিতা, গান, নাটক, উপস্থাপনা প্রতিটি ক্ষেত্রেই এস এম পলাশের পদচিহ্ন উজ্জ্বল। কিন্তু এত সাফল্যেও তিনি নিজেকে কখনো শহুরে প্রভাবের মধ্যে বন্দি রাখেননি। বরং গ্রামের সহজ-সরল মানুষের সঙ্গেই তার সবচেয়ে গভীর বন্ধন।

রূপসী বাংলার প্রকৃতি, খাল-বিল, নদী, কুয়াশা, ধানের গন্ধ সবকিছুই তার সৃজনশীলতাকে প্রেরণা দেয়। এ কারণেই তিনি বলেছেন, “আমি খ্যাতির জন্য নয়, প্রশান্তির জন্য বেঁচে আছি।”

ডিজিটাল বাংলাদেশে গ্রামের ভূমিকা

যেখানে অধিকাংশ মানুষ শহরে ছুটছে উন্নতির স্বপ্নে, সেখানে এস এম পলাশ প্রমাণ করেছেন গ্রামের মাটিতেও সফলতা ও সৃজনশীলতার সম্ভাবনা অসীম। তিনি তার ডিজিটাল উদ্যোগ “রূপসী টিভি (Ruposhi TV)” এর মাধ্যমে বিশ্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরে গ্রাম থেকে বৈশ্বিক পরিসরে পৌঁছে গেছেন।

এই পথচলায় তিনি হয়ে উঠেছেন অনেক তরুণের অনুপ্রেরণা। কিভাবে একজন মানুষ গ্রামের মাটি থেকেই বিশ্বে আলো ছড়াতে পারে।
তার প্রামাণ্য বহু কর্মে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি।

মানবতার আলো ছড়িয়ে চলা এক জীবন

তার জীবনদর্শন স্পষ্ট মানবতার চেয়ে বড় কিছু নেই। পৃথিবীতে এসেছি মানবতার কাজ করতে। শহরের ব্যস্ততা নয়, গ্রামের নিস্তব্ধতা তার ভাবনা, লেখা ও কর্মে এনে দিয়েছে গভীরতা। আজও তিনি সেই প্রিয় গ্রামে বসেই কলমে, ক্যামেরায় রং তুলিতপ ও হৃদয়ে বুনে চলেছেন আলোর গল্প।

এস এম পলাশ বিশ্বাস করেন, যোগ্যতা থাকলে গ্রাম থেকেও সারা বিশ্বে ঢেউ তোলা যায়।

উপসংহার:
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বপ্নের হাতছানি পেরিয়ে, বহু প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করে এস এম পলাশ প্রমাণ করেছেন জীবনের প্রকৃত সুখ বিলাসিতা নয়, শান্তিতে। আর সেই শান্তি পাওয়া যায়, যখন একজন মানুষ নিজের শেকড়ে ফিরে যায় মাটির কাছাকাছি, মানুষের ভালোবাসার কাছে।

নিউট্রন তারা: এক চা-চামচেই ৪০০ কোটি টনের ওজন

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:১৬ এম
নিউট্রন তারা: এক চা-চামচেই ৪০০ কোটি টনের ওজন

🌠 নিউট্রন তারা কী?

নিউট্রন তারা (Neutron Star) হলো মহাবিশ্বের সবচেয়ে ঘন ও শক্তিশালী জ্যোতিষ্কগুলোর একটি। যখন কোনো বিশাল তারা (যেমন সূর্যের চেয়ে ৮ থেকে ২০ গুণ বড় তারা) তার জীবনচক্রের শেষ প্রান্তে পৌঁছে যায়, তখন সেটি সুপারনোভা বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যায়।
এই বিস্ফোরণের পর তারার কেন্দ্র এত প্রবল চাপে ভেঙে পড়ে যে, পরমাণুর প্রোটন ও ইলেকট্রন একত্রে মিশে শুধুই নিউট্রন তৈরি করে।
এভাবেই জন্ম নেয় এক নিউট্রন তারা—যা পুরোপুরি নিউট্রন দিয়ে গঠিত, অবিশ্বাস্যভাবে ঘন এবং মহাশক্তিশালী।


⚖️ মাত্র এক চা-চামচে ৪০০ কোটি টন!

ভাবুন তো, মাত্র এক চা-চামচ নিউট্রন তারার পদার্থের ওজন হবে প্রায় ৪০০ কোটি টন!
অর্থাৎ, এত অল্প পরিমাণ পদার্থের ওজনই পৃথিবীর সব পাহাড়, সমুদ্র, শহর—সব মিলিয়েও পারবে না টক্কর দিতে।

এই অবিশ্বাস্য ঘনত্বের কারণ হলো—নিউট্রন তারায় পদার্থ এতটা চাপে সংকুচিত থাকে যে, একটি সাধারণ চা-চামচে প্রায় ১০²⁷ কিলোগ্রাম ভর থাকতে পারে।
এটা এমন এক অবস্থা যেখানে পদার্থের ভেতরকার ফাঁকা স্থান সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়, শুধু ঘন নিউট্রন একসাথে গাঁথা থাকে।


💥 পৃথিবীতে পড়লে কী ঘটবে?

যদি নিউট্রন তারার এক চা-চামচ পরিমাণ পদার্থ কোনোভাবে পৃথিবীতে এসে পড়ে, তাহলে কী হবে?
উত্তর ভয়ঙ্কর—পৃথিবী মুহূর্তেই চুরমার হয়ে যাবে!
কারণ সেই পদার্থের অপরিসীম মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এত বেশি হবে যে, তা নিজের আশেপাশের সবকিছুকে টেনে নিয়ে এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে ধ্বংস করে ফেলবে।


🌌 কত বড় নিউট্রন তারা?

নিউট্রন তারার ব্যাস প্রায় ২০ কিলোমিটার—অর্থাৎ একটি শহরের সমান ছোট, কিন্তু ভেতরে রয়েছে সূর্যের চেয়েও বেশি ভর!
একটি নিউট্রন তারার ভর সাধারণত সূর্যের ১.৪ গুণ পর্যন্ত হতে পারে, অথচ আকারে তা হাজার গুণ ছোট।
এই কারণেই এটি মহাবিশ্বের সবচেয়ে ঘন পদার্থগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত।


🔭 বিজ্ঞানীদের বিস্ময় ও গবেষণা

বিজ্ঞানীরা নিউট্রন তারাকে নিয়ে বহু বছর ধরে গবেষণা করছেন। রেডিও টেলিস্কোপের মাধ্যমে এর বিকিরণ পর্যবেক্ষণ করে তাঁরা জানতে পেরেছেন যে, অনেক নিউট্রন তারা পালসার (Pulsar) নামে পরিচিত যেগুলো দ্রুত ঘূর্ণন করে নিয়মিত রেডিও তরঙ্গ নির্গত করে।
নিউট্রন তারার ঘনত্ব, চৌম্বক ক্ষেত্র ও মাধ্যাকর্ষণ বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও এক মহাবিস্ময়।


🌠 শেষ কথা

নিউট্রন তারা আমাদের মহাবিশ্বের এক বিস্ময়কর সৃষ্টি — যেখানে ঘনত্ব, শক্তি ও রহস্য মিলেমিশে এক অনন্য উদাহরণ গড়ে তুলেছে।
মাত্র এক চা-চামচ পরিমাণ পদার্থই যদি পৃথিবী ধ্বংস করতে পারে, তাহলে পুরো তারার শক্তি কল্পনাকেও হার মানায়!

মহাবিশ্ব আসলেই কতটা অজানা ও বিস্ময়কর—নিউট্রন তারা তারই এক জীবন্ত প্রমাণ।

তথ্য সূত্র : ইন্টারনেট : সম্পাদনা লেখক এস এম পলাশ