শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২
শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২

বাকেরগঞ্জে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৫, ৮:২৯ পিএম ই-পেপার প্রিন্ট ভিউ
বাকেরগঞ্জে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে টেন্ডারবিহীন লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি এবং নদী ও জলাশয়ে অবৈধ জালের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো অভিযান পরিচালনা না করা, এমনকি একই খালের ভিন্ন ভিন্ন নাম ব্যবহার করে মাছের পোনা অবমুক্ত না করে প্রকল্পের কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এতে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দানা বেঁধেছে।

ইলিশের প্রজনন, বেড়ে ওঠা ও উৎপাদন বাড়াতে নিষেধাজ্ঞার  সময় প্রতিটি জেলে পরিবারকে প্রণোদনা হিসেবে মৎস্য বিভাগ চাল বিতরণ করা হয়। সেই চাল বিতরণেও তিনি স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নেন। এছাড়াও দেশীয় প্রজাতির মাছ, শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেশীয় মাছের প্রজনন রক্ষার্থে ও জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বকনা বাছুর বিতরণ করে মৎস্য অধিদপ্তর।উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম চলে বছরের এপ্রিল মাসে এ উপজেলায় যোগদান করেন করেই ঈদুল আযহার সরকারি বন্ধের সময় গোপনে ৪০ জন জেলেকে বরিশালের কাশীপুরে নিয়ে ওজনে কম এবং রুগ্ন বাছুর বিতরণ করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় বিতরনকৃত ওই বাছুরগুলোর প্রতিটির দাম ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকা এবং ওজন ৩৬ থেকে ৩৮ কেজি হবে। অথচ সরকারি প্রকল্পে প্রতিটি বকনা বাছুরের ওজন ৮০ কেজি এবং মূল্য ৪০ হাজার টাকা উল্লেখ রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে মৎস্য কর্মকর্তার অবহেলার ফলে বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাতির শৌল, গজার, টাকি, শিং, কৈসহ নানান প্রজাতির মাছ। তার উদাশীনার কারনেই একটি অসাধুচক্র নদী ও জলাশয়ে নির্বিঘ্নে কারেন্ট জাল, চায়না দুয়ারী জাল, বিসেল জাল, গড়াকাটা চরগোড় এবং নিষিদ্ধ ঘূর্ণিজাল দিয়ে এবং নদী ও জলাশয়ে বিষ ব্যবহার করে ব্যাপক হারে মাছ শিকার করছে। এ অবৈধ কর্মকান্ডে মাছের প্রজনন ব্যাহত এবং প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

একই খালের ভিন্ন ভিন্ন নাম ব্যবহার করে মাছের পোনা অপমুক্ত না করে হাতিয়ে নিচ্ছেন প্রকল্পের টাকা, মৎস্য অভয় আশ্রম নামমাত্র থাকলেও নেই তেমন কোন কার্যক্রম। এতে প্রকৃত মৎস্যজীবী ও ক্ষুদ্র খামারিরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন এবং প্রকল্পের ফলপ্রসূতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া  হলে তিনি বলেন, যা কিছু হয়েছে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার নির্দেশে হয়েছে। দুর্নীতি বিষয় জানাতে চাইলে তিনি কোন কথা না বলে নিশ্চুপ থাকেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তের পথে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণ রয়েছে যেমন চায়না দুয়ারী জাল, কারেন্ট জাল, এমনকি বিষ প্রয়োগ করেও জেলেরা মাছ ধরছেন। এই অবৈধ জালগুলো বন্ধে আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। মৎস্য কর্মকর্তার দুর্নীতি থাকলে সেগুলো তিনি খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের তিন লক্ষ টাকার মধ্যে যে প্রকল্পগুলো রয়েছে, সেগুলো উপজেলা মৎস্য অফিস থেকেই বরাদ্দ হয়। তবে তিন লক্ষ টাকার উপরে যে প্রকল্পগুলো রয়েছে, সেগুলো স্থানীয় টেন্ডারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার কথা।

স্থানীয়রা উপজেলা মৎস্য মৎস্য কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা রুখতে তদন্তপূর্বক অবিলম্বে তাকে নিজ উপজেলা থেকে অন্যত্র বদলির দাবী জানিয়েছেন।

sharethis sharing button

পশুর নদীতে পড়ে প্রবাসী নারী পর্যটক নিখোঁজ

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:২৬ পিএম
পশুর নদীতে পড়ে প্রবাসী নারী পর্যটক নিখোঁজ

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

মোংলার পশুর নদীতে পর্যটকবাহী একটি বোট উল্টে রিয়ানা আবজাল (২৮) নামে মার্কিন প্রবাসী এক নারী পর্যটক নিখোঁজ হয়েছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে নিখোঁজের সন্ধানে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালাচ্ছেন বনবিভাগ ও স্থানীয় লোকজন।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা সুরজিৎ চৌধুরী জানান, বনের ঢাংমারী এলাকার রিসোর্ট ‘ম্যানগ্রোভ ভেলিতে’ পরিবারসহ রাত্রিযাপন শেষে শনিবার সকালে একটি ট্রলারে করে তারা ১৩ জন পর্যটক করমজল পর্যটন কেন্দ্রে যাচ্ছিল। পথে তাদের বোটটি ঢাংমারী খাল ও পশুর নদীর সঙ্গমস্থলে পৌঁছালে প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে বোটটি উল্টে যায়।

তিনি আরও জানান, এ সময় ট্রলারে থাকা সবাই নদীতে পড়ে যায়। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই সাঁতরে কুলে উঠে, আবার কয়েকজনকে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করেন। কিন্তু নিখোঁজ হন রিয়ানা নামের এক নারী পর্যটক। ওই নারী বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একজন পাইলট ছিলেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান তিনি। নিখোঁজ এ মার্কিন প্রবাসীর সন্ধানে ঘটনাস্থলে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বনবিভাগ।

নিখোঁজ রিয়ানার বাবা ও বিমান বাহিনীর ইন্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা ঢাকার উত্তরাতে থাকি। আমাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালে। এখানে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছিলাম। একটি জাহাজের প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে তাদের ট্রলারটি উল্টে যায়। এতে বোটের ১৩ জনই নদীতে পড়ে যায়। পরে ১২ জন উঠতে পারলেও রিয়ানাকে পাওয়া যায়নি।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুযোগ থাকলে কেনো গ্রামে থাকি: এস এম পলাশ

ডেক্স রিপোর্ট প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৪:১০ এম
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুযোগ থাকলে কেনো গ্রামে থাকি: এস এম পলাশ

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজের অসংখ্য সুযোগ থাকা সত্ত্বেও, তিনি বেছে নিয়েছেন গ্রামীণ জীবনের প্রশান্তি। আলো-ঝলমলে শহুরে চাকচিক্যের মোহে নয়, বরং মাটির গন্ধে, নদীর কলতানে আর মানুষের হাসি-কান্নায় খুঁজে পেয়েছেন জীবনের আসল অর্থ। তিনি প্রথিতযশা সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিত্র শিল্পী, গ্রাফিকস ডিজাইনার, ওয়েব ডেভলপার, সমাজসেবক ও কনটেন্ট নির্মাতা এস এম পলাশ।

১৯৯৭ সাল থেকে রাজধানীর ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে সাহিত্য শিল্পকর্মে আলো ছড়িয়েছেন, এর পরে ২০০৯ সাল থেকে স্থায়ীভাবে নিজের এলাকা বরিশালের বাকেরগঞ্জে বসবাস করছেন তিনি। কেউ কেউ অবাক হন— কেন এমন একজন দক্ষ ও যোগ্য মানুষ শহরের কেন্দ্রে না থেকে গ্রামের জীবনে সুখ খুঁজছেন? তার সহজ উত্তর— “শান্তি, সম্পর্ক আর মানবতার উষ্ণতা গ্রামেই আছে।”

শহর নয়, মানুষের পাশে থাকার তাগিদ আর প্রকৃতির ভালবাসা।

সাংবাদিকতা ও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি এস এম পলাশ ছোটবেলা থেকেই মানুষের সেবায় নিজেকে নিবেদিত করেছেন। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, শিক্ষাবিস্তার, অসহায় মানুষের সহায়তা সব ক্ষেত্রেই তার উপস্থিতি চোখে পড়ে। তিনি মনে করেন, মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো মানুষ নিজেই।

তার ভাষায়, “গ্রামে কাজ করলে সরাসরি মানুষের মুখের হাসি দেখা যায়। সেটিই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”

বহুমুখী প্রতিভা, আর সরল সাধারণ জীবন:

সাংবাদিকতা, চিত্রশিল্প, কবিতা, গান, নাটক, উপস্থাপনা প্রতিটি ক্ষেত্রেই এস এম পলাশের পদচিহ্ন উজ্জ্বল। কিন্তু এত সাফল্যেও তিনি নিজেকে কখনো শহুরে প্রভাবের মধ্যে বন্দি রাখেননি। বরং গ্রামের সহজ-সরল মানুষের সঙ্গেই তার সবচেয়ে গভীর বন্ধন।

রূপসী বাংলার প্রকৃতি, খাল-বিল, নদী, কুয়াশা, ধানের গন্ধ সবকিছুই তার সৃজনশীলতাকে প্রেরণা দেয়। এ কারণেই তিনি বলেছেন, “আমি খ্যাতির জন্য নয়, প্রশান্তির জন্য বেঁচে আছি।”

ডিজিটাল বাংলাদেশে গ্রামের ভূমিকা

যেখানে অধিকাংশ মানুষ শহরে ছুটছে উন্নতির স্বপ্নে, সেখানে এস এম পলাশ প্রমাণ করেছেন গ্রামের মাটিতেও সফলতা ও সৃজনশীলতার সম্ভাবনা অসীম। তিনি তার ডিজিটাল উদ্যোগ “রূপসী টিভি (Ruposhi TV)” এর মাধ্যমে বিশ্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরে গ্রাম থেকে বৈশ্বিক পরিসরে পৌঁছে গেছেন।

এই পথচলায় তিনি হয়ে উঠেছেন অনেক তরুণের অনুপ্রেরণা। কিভাবে একজন মানুষ গ্রামের মাটি থেকেই বিশ্বে আলো ছড়াতে পারে।
তার প্রামাণ্য বহু কর্মে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি।

মানবতার আলো ছড়িয়ে চলা এক জীবন

তার জীবনদর্শন স্পষ্ট মানবতার চেয়ে বড় কিছু নেই। পৃথিবীতে এসেছি মানবতার কাজ করতে। শহরের ব্যস্ততা নয়, গ্রামের নিস্তব্ধতা তার ভাবনা, লেখা ও কর্মে এনে দিয়েছে গভীরতা। আজও তিনি সেই প্রিয় গ্রামে বসেই কলমে, ক্যামেরায় রং তুলিতপ ও হৃদয়ে বুনে চলেছেন আলোর গল্প।

এস এম পলাশ বিশ্বাস করেন, যোগ্যতা থাকলে গ্রাম থেকেও সারা বিশ্বে ঢেউ তোলা যায়।

উপসংহার:
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বপ্নের হাতছানি পেরিয়ে, বহু প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করে এস এম পলাশ প্রমাণ করেছেন জীবনের প্রকৃত সুখ বিলাসিতা নয়, শান্তিতে। আর সেই শান্তি পাওয়া যায়, যখন একজন মানুষ নিজের শেকড়ে ফিরে যায় মাটির কাছাকাছি, মানুষের ভালোবাসার কাছে।

নিউট্রন তারা: এক চা-চামচেই ৪০০ কোটি টনের ওজন

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:১৬ এম
নিউট্রন তারা: এক চা-চামচেই ৪০০ কোটি টনের ওজন

🌠 নিউট্রন তারা কী?

নিউট্রন তারা (Neutron Star) হলো মহাবিশ্বের সবচেয়ে ঘন ও শক্তিশালী জ্যোতিষ্কগুলোর একটি। যখন কোনো বিশাল তারা (যেমন সূর্যের চেয়ে ৮ থেকে ২০ গুণ বড় তারা) তার জীবনচক্রের শেষ প্রান্তে পৌঁছে যায়, তখন সেটি সুপারনোভা বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যায়।
এই বিস্ফোরণের পর তারার কেন্দ্র এত প্রবল চাপে ভেঙে পড়ে যে, পরমাণুর প্রোটন ও ইলেকট্রন একত্রে মিশে শুধুই নিউট্রন তৈরি করে।
এভাবেই জন্ম নেয় এক নিউট্রন তারা—যা পুরোপুরি নিউট্রন দিয়ে গঠিত, অবিশ্বাস্যভাবে ঘন এবং মহাশক্তিশালী।


⚖️ মাত্র এক চা-চামচে ৪০০ কোটি টন!

ভাবুন তো, মাত্র এক চা-চামচ নিউট্রন তারার পদার্থের ওজন হবে প্রায় ৪০০ কোটি টন!
অর্থাৎ, এত অল্প পরিমাণ পদার্থের ওজনই পৃথিবীর সব পাহাড়, সমুদ্র, শহর—সব মিলিয়েও পারবে না টক্কর দিতে।

এই অবিশ্বাস্য ঘনত্বের কারণ হলো—নিউট্রন তারায় পদার্থ এতটা চাপে সংকুচিত থাকে যে, একটি সাধারণ চা-চামচে প্রায় ১০²⁷ কিলোগ্রাম ভর থাকতে পারে।
এটা এমন এক অবস্থা যেখানে পদার্থের ভেতরকার ফাঁকা স্থান সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়, শুধু ঘন নিউট্রন একসাথে গাঁথা থাকে।


💥 পৃথিবীতে পড়লে কী ঘটবে?

যদি নিউট্রন তারার এক চা-চামচ পরিমাণ পদার্থ কোনোভাবে পৃথিবীতে এসে পড়ে, তাহলে কী হবে?
উত্তর ভয়ঙ্কর—পৃথিবী মুহূর্তেই চুরমার হয়ে যাবে!
কারণ সেই পদার্থের অপরিসীম মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এত বেশি হবে যে, তা নিজের আশেপাশের সবকিছুকে টেনে নিয়ে এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে ধ্বংস করে ফেলবে।


🌌 কত বড় নিউট্রন তারা?

নিউট্রন তারার ব্যাস প্রায় ২০ কিলোমিটার—অর্থাৎ একটি শহরের সমান ছোট, কিন্তু ভেতরে রয়েছে সূর্যের চেয়েও বেশি ভর!
একটি নিউট্রন তারার ভর সাধারণত সূর্যের ১.৪ গুণ পর্যন্ত হতে পারে, অথচ আকারে তা হাজার গুণ ছোট।
এই কারণেই এটি মহাবিশ্বের সবচেয়ে ঘন পদার্থগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত।


🔭 বিজ্ঞানীদের বিস্ময় ও গবেষণা

বিজ্ঞানীরা নিউট্রন তারাকে নিয়ে বহু বছর ধরে গবেষণা করছেন। রেডিও টেলিস্কোপের মাধ্যমে এর বিকিরণ পর্যবেক্ষণ করে তাঁরা জানতে পেরেছেন যে, অনেক নিউট্রন তারা পালসার (Pulsar) নামে পরিচিত যেগুলো দ্রুত ঘূর্ণন করে নিয়মিত রেডিও তরঙ্গ নির্গত করে।
নিউট্রন তারার ঘনত্ব, চৌম্বক ক্ষেত্র ও মাধ্যাকর্ষণ বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও এক মহাবিস্ময়।


🌠 শেষ কথা

নিউট্রন তারা আমাদের মহাবিশ্বের এক বিস্ময়কর সৃষ্টি — যেখানে ঘনত্ব, শক্তি ও রহস্য মিলেমিশে এক অনন্য উদাহরণ গড়ে তুলেছে।
মাত্র এক চা-চামচ পরিমাণ পদার্থই যদি পৃথিবী ধ্বংস করতে পারে, তাহলে পুরো তারার শক্তি কল্পনাকেও হার মানায়!

মহাবিশ্ব আসলেই কতটা অজানা ও বিস্ময়কর—নিউট্রন তারা তারই এক জীবন্ত প্রমাণ।

তথ্য সূত্র : ইন্টারনেট : সম্পাদনা লেখক এস এম পলাশ