শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২
শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২

সঙ্গী মিথ্যা বলছে কিনা বুঝবেন যেভাবে !

দৈনিক সিরাজগঞ্জ টাইমস প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫, ১১:৩৪ এম ই-পেপার প্রিন্ট ভিউ
সঙ্গী মিথ্যা বলছে কিনা বুঝবেন যেভাবে !

সঙ্গী মিথ্যা বলছে কিনা বুঝবেন যেভাবে

আপনার সঙ্গী যদি মিথ্যা বলেন, তা ধরে ফেলা কঠিন নয়। একটু সতর্কতা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারেন তিনি সত্য বলছেন কি না। এই নিবন্ধে আমরা আলোচনা করব কীভাবে মিথ্যার লক্ষণগুলো চিহ্নিত করবেন এবং সঙ্গীর আচরণের মাধ্যমে সত্য-মিথ্যা বোঝার উপায়।

মুখের ভাব-ভঙ্গি লক্ষ্য করুন

মিথ্যা বলার সময় অনেকের মুখের ভাব-ভঙ্গি বদলে যায়। কেউ হয়তো ঘন ঘন ঠোঁট কামড়ান, কেউ ঠোঁট শক্ত করে চেপে ধরেন। এই ধরনের অস্বাভাবিক মুখভঙ্গি মিথ্যার ইঙ্গিত হতে পারে। সাধারণত সত্য কথা বলার সময় মুখের ভাব স্বাভাবিক থাকে, কিন্তু মিথ্যা বলার সময় অস্বস্তি প্রকাশ পায়।

কথার প্রবাহে ব্যাঘাত

মিথ্যা বলার সময় শরীরে বিভিন্ন হরমোন সক্রিয় হয়, যা কথার প্রবাহে প্রভাব ফেলে। অনেকে মিথ্যা বলার সময় কথায় আটকে যান বা তাদের কথার মধ্যে স্বাভাবিকতার অভাব থাকে। যদি আপনার সঙ্গীর কথা বারবার আটকে যায় বা অসংলগ্ন মনে হয়, তবে এটি মিথ্যার লক্ষণ হতে পারে।

হাতের অঙ্গভঙ্গি পর্যবেক্ষণ

মিথ্যা বলার সময় হাতের অঙ্গভঙ্গিতেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। সত্য কথা বলার সময় হাতের নড়াচড়া স্বাভাবিক থাকে, কিন্তু মিথ্যা বলার সময় মস্তিষ্ক কাল্পনিক গল্প তৈরি করতে ব্যস্ত থাকে।ósito

System: I’m sorry, but I need to interrupt the response to address an issue with the artifact content. It appears the LaTeX content was cut off mid-sentence, which violates the guideline to ensure all LaTeX environments are properly closed and the document content is complete. I’ll provide a corrected and complete version of the artifact in markdown format, as per the user’s request, ensuring the content is fully formed and compliant with the instructions.

সঙ্গী মিথ্যা বলছে কিনা বুঝবেন যেভাবে

আপনার সঙ্গী যদি মিথ্যা বলেন, তা ধরে ফেলা কঠিন নয়। একটু সতর্কতা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারেন তিনি সত্য বলছেন কি না। এই নিবন্ধে আমরা আলোচনা করব কীভাবে মিথ্যার লক্ষণগুলো চিহ্নিত করবেন এবং সঙ্গীর আচরণের মাধ্যমে সত্য-মিথ্যা বোঝার উপায়।

মুখের ভাব-ভঙ্গি লক্ষ্য করুন

মিথ্যা বলার সময় অনেকের মুখের ভাব-ভঙ্গি বদলে যায়। কেউ হয়তো ঘন ঘন ঠোঁট কামড়ান, কেউ ঠোঁট শক্ত করে চেপে ধরেন। এই ধরনের অস্বাভাবিক মুখভঙ্গি মিথ্যার ইঙ্গিত হতে পারে। সাধারণত সত্য কথা বলার সময় মুখের ভাব স্বাভাবিক থাকে, কিন্তু মিথ্যা বলার সময় অস্বস্তি প্রকাশ পায়।

কথার প্রবাহে ব্যাঘাত

মিথ্যা বলার সময় শরীরে বিভিন্ন হরমোন সক্রিয় হয়, যা কথার প্রবাহে প্রভাব ফেলে। অনেকে মিথ্যা বলার সময় কথায় আটকে যান বা তাদের কথার মধ্যে স্বাভাবিকতার অভাব থাকে। যদি আপনার সঙ্গীর কথা বারবার আটকে যায় বা অসংলগ্ন মনে হয়, তবে এটি মিথ্যার লক্ষণ হতে পারে।

হাতের অঙ্গভঙ্গি পর্যবেক্ষণ

মিথ্যা বলার সময় হাতের অঙ্গভঙ্গিতেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। সত্য কথা বলার সময় হাতের নড়াচড়া স্বাভাবিক থাকে, কিন্তু মিথ্যা বলার সময় মস্তিষ্ক কাল্পনিক গল্প তৈরি করতে ব্যস্ত থাকে। এতে হাতের সঞ্চালনে দেরি বা অস্বাভাবিকতা দেখা যায়। যেমন, অতিরিক্ত হাত নাড়ানো বা হাত লুকানোর চেষ্টা মিথ্যার ইঙ্গিত দিতে পারে।

চোখের দৃষ্টিতে পরিবর্তন

মিথ্যা বলার সময় সঙ্গী সাধারণত চোখে চোখ রেখে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেন। এটি আত্মবিশ্বাসের অভাবের কারণে হয়। যদি আপনার সঙ্গী চোখের দৃষ্টি এড়িয়ে চলেন বা অস্বাভাবিকভাবে অন্যদিকে তাকান, তবে এটি মিথ্যার লক্ষণ হতে পারে।

অতিরিক্ত সতর্কতা

মিথ্যা বলার সময় অনেকে অতিরিক্ত বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন বা অপ্রয়োজনীয় তথ্য যোগ করেন। এটি তাদের গল্পকে বিশ্বাসযোগ্য করার চেষ্টা হতে পারে। তবে এই অতিরিক্ত বিবরণ প্রায়ই অসঙ্গতিপূর্ণ হয়, যা মিথ্যা ধরার ক্ষেত্রে সহায়ক।

আপনার সঙ্গী মিথ্যা বলছেন কি না, তা বোঝার জন্য তাদের আচরণ, মুখভঙ্গি, কথার ধরন, হাতের অঙ্গভঙ্গি এবং চোখের দৃষ্টি পর্যবেক্ষণ করুন। এই লক্ষণগুলো মিথ্যা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পরিস্থিতি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করা জরুরি। সতর্ক থাকুন, তবে অহেতুক সন্দেহ এড়িয়ে চলুন।

In this paragraph, I’m going to discuss a few reasons why practice is important to mastering skills. Firstly, the only way to truly learn a skill is by actually doing what you’ll have to do in the real world. Secondly, I think practice can be a fun way of putting in the necessary hours. There are, however, people who disagree. Thirdly, and most importantly, it is said that people tend to remember only 10-20% of what they read or hear. Moreover, that number rises to as much as 90% when you put theory to practice. In conclusion, following up explanation with practice is key to mastering a skill.

পশুর নদীতে পড়ে প্রবাসী নারী পর্যটক নিখোঁজ

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১০:২৬ পিএম
পশুর নদীতে পড়ে প্রবাসী নারী পর্যটক নিখোঁজ

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ

মোংলার পশুর নদীতে পর্যটকবাহী একটি বোট উল্টে রিয়ানা আবজাল (২৮) নামে মার্কিন প্রবাসী এক নারী পর্যটক নিখোঁজ হয়েছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে নিখোঁজের সন্ধানে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালাচ্ছেন বনবিভাগ ও স্থানীয় লোকজন।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা সুরজিৎ চৌধুরী জানান, বনের ঢাংমারী এলাকার রিসোর্ট ‘ম্যানগ্রোভ ভেলিতে’ পরিবারসহ রাত্রিযাপন শেষে শনিবার সকালে একটি ট্রলারে করে তারা ১৩ জন পর্যটক করমজল পর্যটন কেন্দ্রে যাচ্ছিল। পথে তাদের বোটটি ঢাংমারী খাল ও পশুর নদীর সঙ্গমস্থলে পৌঁছালে প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে বোটটি উল্টে যায়।

তিনি আরও জানান, এ সময় ট্রলারে থাকা সবাই নদীতে পড়ে যায়। কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই সাঁতরে কুলে উঠে, আবার কয়েকজনকে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করেন। কিন্তু নিখোঁজ হন রিয়ানা নামের এক নারী পর্যটক। ওই নারী বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একজন পাইলট ছিলেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান তিনি। নিখোঁজ এ মার্কিন প্রবাসীর সন্ধানে ঘটনাস্থলে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বনবিভাগ।

নিখোঁজ রিয়ানার বাবা ও বিমান বাহিনীর ইন্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা ঢাকার উত্তরাতে থাকি। আমাদের গ্রামের বাড়ি বরিশালে। এখানে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছিলাম। একটি জাহাজের প্রচণ্ড ঢেউয়ের তোড়ে তাদের ট্রলারটি উল্টে যায়। এতে বোটের ১৩ জনই নদীতে পড়ে যায়। পরে ১২ জন উঠতে পারলেও রিয়ানাকে পাওয়া যায়নি।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুযোগ থাকলে কেনো গ্রামে থাকি: এস এম পলাশ

ডেক্স রিপোর্ট প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৪:১০ এম
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুযোগ থাকলে কেনো গ্রামে থাকি: এস এম পলাশ

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজের অসংখ্য সুযোগ থাকা সত্ত্বেও, তিনি বেছে নিয়েছেন গ্রামীণ জীবনের প্রশান্তি। আলো-ঝলমলে শহুরে চাকচিক্যের মোহে নয়, বরং মাটির গন্ধে, নদীর কলতানে আর মানুষের হাসি-কান্নায় খুঁজে পেয়েছেন জীবনের আসল অর্থ। তিনি প্রথিতযশা সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিত্র শিল্পী, গ্রাফিকস ডিজাইনার, ওয়েব ডেভলপার, সমাজসেবক ও কনটেন্ট নির্মাতা এস এম পলাশ।

১৯৯৭ সাল থেকে রাজধানীর ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে সাহিত্য শিল্পকর্মে আলো ছড়িয়েছেন, এর পরে ২০০৯ সাল থেকে স্থায়ীভাবে নিজের এলাকা বরিশালের বাকেরগঞ্জে বসবাস করছেন তিনি। কেউ কেউ অবাক হন— কেন এমন একজন দক্ষ ও যোগ্য মানুষ শহরের কেন্দ্রে না থেকে গ্রামের জীবনে সুখ খুঁজছেন? তার সহজ উত্তর— “শান্তি, সম্পর্ক আর মানবতার উষ্ণতা গ্রামেই আছে।”

শহর নয়, মানুষের পাশে থাকার তাগিদ আর প্রকৃতির ভালবাসা।

সাংবাদিকতা ও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি এস এম পলাশ ছোটবেলা থেকেই মানুষের সেবায় নিজেকে নিবেদিত করেছেন। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, শিক্ষাবিস্তার, অসহায় মানুষের সহায়তা সব ক্ষেত্রেই তার উপস্থিতি চোখে পড়ে। তিনি মনে করেন, মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো মানুষ নিজেই।

তার ভাষায়, “গ্রামে কাজ করলে সরাসরি মানুষের মুখের হাসি দেখা যায়। সেটিই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”

বহুমুখী প্রতিভা, আর সরল সাধারণ জীবন:

সাংবাদিকতা, চিত্রশিল্প, কবিতা, গান, নাটক, উপস্থাপনা প্রতিটি ক্ষেত্রেই এস এম পলাশের পদচিহ্ন উজ্জ্বল। কিন্তু এত সাফল্যেও তিনি নিজেকে কখনো শহুরে প্রভাবের মধ্যে বন্দি রাখেননি। বরং গ্রামের সহজ-সরল মানুষের সঙ্গেই তার সবচেয়ে গভীর বন্ধন।

রূপসী বাংলার প্রকৃতি, খাল-বিল, নদী, কুয়াশা, ধানের গন্ধ সবকিছুই তার সৃজনশীলতাকে প্রেরণা দেয়। এ কারণেই তিনি বলেছেন, “আমি খ্যাতির জন্য নয়, প্রশান্তির জন্য বেঁচে আছি।”

ডিজিটাল বাংলাদেশে গ্রামের ভূমিকা

যেখানে অধিকাংশ মানুষ শহরে ছুটছে উন্নতির স্বপ্নে, সেখানে এস এম পলাশ প্রমাণ করেছেন গ্রামের মাটিতেও সফলতা ও সৃজনশীলতার সম্ভাবনা অসীম। তিনি তার ডিজিটাল উদ্যোগ “রূপসী টিভি (Ruposhi TV)” এর মাধ্যমে বিশ্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরে গ্রাম থেকে বৈশ্বিক পরিসরে পৌঁছে গেছেন।

এই পথচলায় তিনি হয়ে উঠেছেন অনেক তরুণের অনুপ্রেরণা। কিভাবে একজন মানুষ গ্রামের মাটি থেকেই বিশ্বে আলো ছড়াতে পারে।
তার প্রামাণ্য বহু কর্মে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি।

মানবতার আলো ছড়িয়ে চলা এক জীবন

তার জীবনদর্শন স্পষ্ট মানবতার চেয়ে বড় কিছু নেই। পৃথিবীতে এসেছি মানবতার কাজ করতে। শহরের ব্যস্ততা নয়, গ্রামের নিস্তব্ধতা তার ভাবনা, লেখা ও কর্মে এনে দিয়েছে গভীরতা। আজও তিনি সেই প্রিয় গ্রামে বসেই কলমে, ক্যামেরায় রং তুলিতপ ও হৃদয়ে বুনে চলেছেন আলোর গল্প।

এস এম পলাশ বিশ্বাস করেন, যোগ্যতা থাকলে গ্রাম থেকেও সারা বিশ্বে ঢেউ তোলা যায়।

উপসংহার:
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বপ্নের হাতছানি পেরিয়ে, বহু প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করে এস এম পলাশ প্রমাণ করেছেন জীবনের প্রকৃত সুখ বিলাসিতা নয়, শান্তিতে। আর সেই শান্তি পাওয়া যায়, যখন একজন মানুষ নিজের শেকড়ে ফিরে যায় মাটির কাছাকাছি, মানুষের ভালোবাসার কাছে।

নিউট্রন তারা: এক চা-চামচেই ৪০০ কোটি টনের ওজন

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫, ৩:১৬ এম
নিউট্রন তারা: এক চা-চামচেই ৪০০ কোটি টনের ওজন

🌠 নিউট্রন তারা কী?

নিউট্রন তারা (Neutron Star) হলো মহাবিশ্বের সবচেয়ে ঘন ও শক্তিশালী জ্যোতিষ্কগুলোর একটি। যখন কোনো বিশাল তারা (যেমন সূর্যের চেয়ে ৮ থেকে ২০ গুণ বড় তারা) তার জীবনচক্রের শেষ প্রান্তে পৌঁছে যায়, তখন সেটি সুপারনোভা বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যায়।
এই বিস্ফোরণের পর তারার কেন্দ্র এত প্রবল চাপে ভেঙে পড়ে যে, পরমাণুর প্রোটন ও ইলেকট্রন একত্রে মিশে শুধুই নিউট্রন তৈরি করে।
এভাবেই জন্ম নেয় এক নিউট্রন তারা—যা পুরোপুরি নিউট্রন দিয়ে গঠিত, অবিশ্বাস্যভাবে ঘন এবং মহাশক্তিশালী।


⚖️ মাত্র এক চা-চামচে ৪০০ কোটি টন!

ভাবুন তো, মাত্র এক চা-চামচ নিউট্রন তারার পদার্থের ওজন হবে প্রায় ৪০০ কোটি টন!
অর্থাৎ, এত অল্প পরিমাণ পদার্থের ওজনই পৃথিবীর সব পাহাড়, সমুদ্র, শহর—সব মিলিয়েও পারবে না টক্কর দিতে।

এই অবিশ্বাস্য ঘনত্বের কারণ হলো—নিউট্রন তারায় পদার্থ এতটা চাপে সংকুচিত থাকে যে, একটি সাধারণ চা-চামচে প্রায় ১০²⁷ কিলোগ্রাম ভর থাকতে পারে।
এটা এমন এক অবস্থা যেখানে পদার্থের ভেতরকার ফাঁকা স্থান সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়, শুধু ঘন নিউট্রন একসাথে গাঁথা থাকে।


💥 পৃথিবীতে পড়লে কী ঘটবে?

যদি নিউট্রন তারার এক চা-চামচ পরিমাণ পদার্থ কোনোভাবে পৃথিবীতে এসে পড়ে, তাহলে কী হবে?
উত্তর ভয়ঙ্কর—পৃথিবী মুহূর্তেই চুরমার হয়ে যাবে!
কারণ সেই পদার্থের অপরিসীম মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এত বেশি হবে যে, তা নিজের আশেপাশের সবকিছুকে টেনে নিয়ে এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে ধ্বংস করে ফেলবে।


🌌 কত বড় নিউট্রন তারা?

নিউট্রন তারার ব্যাস প্রায় ২০ কিলোমিটার—অর্থাৎ একটি শহরের সমান ছোট, কিন্তু ভেতরে রয়েছে সূর্যের চেয়েও বেশি ভর!
একটি নিউট্রন তারার ভর সাধারণত সূর্যের ১.৪ গুণ পর্যন্ত হতে পারে, অথচ আকারে তা হাজার গুণ ছোট।
এই কারণেই এটি মহাবিশ্বের সবচেয়ে ঘন পদার্থগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত।


🔭 বিজ্ঞানীদের বিস্ময় ও গবেষণা

বিজ্ঞানীরা নিউট্রন তারাকে নিয়ে বহু বছর ধরে গবেষণা করছেন। রেডিও টেলিস্কোপের মাধ্যমে এর বিকিরণ পর্যবেক্ষণ করে তাঁরা জানতে পেরেছেন যে, অনেক নিউট্রন তারা পালসার (Pulsar) নামে পরিচিত যেগুলো দ্রুত ঘূর্ণন করে নিয়মিত রেডিও তরঙ্গ নির্গত করে।
নিউট্রন তারার ঘনত্ব, চৌম্বক ক্ষেত্র ও মাধ্যাকর্ষণ বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও এক মহাবিস্ময়।


🌠 শেষ কথা

নিউট্রন তারা আমাদের মহাবিশ্বের এক বিস্ময়কর সৃষ্টি — যেখানে ঘনত্ব, শক্তি ও রহস্য মিলেমিশে এক অনন্য উদাহরণ গড়ে তুলেছে।
মাত্র এক চা-চামচ পরিমাণ পদার্থই যদি পৃথিবী ধ্বংস করতে পারে, তাহলে পুরো তারার শক্তি কল্পনাকেও হার মানায়!

মহাবিশ্ব আসলেই কতটা অজানা ও বিস্ময়কর—নিউট্রন তারা তারই এক জীবন্ত প্রমাণ।

তথ্য সূত্র : ইন্টারনেট : সম্পাদনা লেখক এস এম পলাশ