জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুযোগ থাকলে কেনো গ্রামে থাকি: এস এম পলাশ
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজের অসংখ্য সুযোগ থাকা সত্ত্বেও, তিনি বেছে নিয়েছেন গ্রামীণ জীবনের প্রশান্তি। আলো-ঝলমলে শহুরে চাকচিক্যের মোহে নয়, বরং মাটির গন্ধে, নদীর কলতানে আর মানুষের হাসি-কান্নায় খুঁজে পেয়েছেন জীবনের আসল অর্থ। তিনি প্রথিতযশা সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিত্র শিল্পী, গ্রাফিকস ডিজাইনার, ওয়েব ডেভলপার, সমাজসেবক ও কনটেন্ট নির্মাতা এস এম পলাশ।
১৯৯৭ সাল থেকে রাজধানীর ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে সাহিত্য শিল্পকর্মে আলো ছড়িয়েছেন, এর পরে ২০০৯ সাল থেকে স্থায়ীভাবে নিজের এলাকা বরিশালের বাকেরগঞ্জে বসবাস করছেন তিনি। কেউ কেউ অবাক হন— কেন এমন একজন দক্ষ ও যোগ্য মানুষ শহরের কেন্দ্রে না থেকে গ্রামের জীবনে সুখ খুঁজছেন? তার সহজ উত্তর— “শান্তি, সম্পর্ক আর মানবতার উষ্ণতা গ্রামেই আছে।”
শহর নয়, মানুষের পাশে থাকার তাগিদ আর প্রকৃতির ভালবাসা।
সাংবাদিকতা ও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি এস এম পলাশ ছোটবেলা থেকেই মানুষের সেবায় নিজেকে নিবেদিত করেছেন। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, শিক্ষাবিস্তার, অসহায় মানুষের সহায়তা সব ক্ষেত্রেই তার উপস্থিতি চোখে পড়ে। তিনি মনে করেন, মানুষের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো মানুষ নিজেই।
তার ভাষায়, “গ্রামে কাজ করলে সরাসরি মানুষের মুখের হাসি দেখা যায়। সেটিই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
বহুমুখী প্রতিভা, আর সরল সাধারণ জীবন:
সাংবাদিকতা, চিত্রশিল্প, কবিতা, গান, নাটক, উপস্থাপনা প্রতিটি ক্ষেত্রেই এস এম পলাশের পদচিহ্ন উজ্জ্বল। কিন্তু এত সাফল্যেও তিনি নিজেকে কখনো শহুরে প্রভাবের মধ্যে বন্দি রাখেননি। বরং গ্রামের সহজ-সরল মানুষের সঙ্গেই তার সবচেয়ে গভীর বন্ধন।
রূপসী বাংলার প্রকৃতি, খাল-বিল, নদী, কুয়াশা, ধানের গন্ধ সবকিছুই তার সৃজনশীলতাকে প্রেরণা দেয়। এ কারণেই তিনি বলেছেন, “আমি খ্যাতির জন্য নয়, প্রশান্তির জন্য বেঁচে আছি।”
ডিজিটাল বাংলাদেশে গ্রামের ভূমিকা
যেখানে অধিকাংশ মানুষ শহরে ছুটছে উন্নতির স্বপ্নে, সেখানে এস এম পলাশ প্রমাণ করেছেন গ্রামের মাটিতেও সফলতা ও সৃজনশীলতার সম্ভাবনা অসীম। তিনি তার ডিজিটাল উদ্যোগ “রূপসী টিভি (Ruposhi TV)” এর মাধ্যমে বিশ্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরে গ্রাম থেকে বৈশ্বিক পরিসরে পৌঁছে গেছেন।
এই পথচলায় তিনি হয়ে উঠেছেন অনেক তরুণের অনুপ্রেরণা। কিভাবে একজন মানুষ গ্রামের মাটি থেকেই বিশ্বে আলো ছড়াতে পারে।
তার প্রামাণ্য বহু কর্মে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি।
মানবতার আলো ছড়িয়ে চলা এক জীবন
তার জীবনদর্শন স্পষ্ট মানবতার চেয়ে বড় কিছু নেই। পৃথিবীতে এসেছি মানবতার কাজ করতে। শহরের ব্যস্ততা নয়, গ্রামের নিস্তব্ধতা তার ভাবনা, লেখা ও কর্মে এনে দিয়েছে গভীরতা। আজও তিনি সেই প্রিয় গ্রামে বসেই কলমে, ক্যামেরায় রং তুলিতপ ও হৃদয়ে বুনে চলেছেন আলোর গল্প।
এস এম পলাশ বিশ্বাস করেন, যোগ্যতা থাকলে গ্রাম থেকেও সারা বিশ্বে ঢেউ তোলা যায়।
উপসংহার:
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বপ্নের হাতছানি পেরিয়ে, বহু প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করে এস এম পলাশ প্রমাণ করেছেন জীবনের প্রকৃত সুখ বিলাসিতা নয়, শান্তিতে। আর সেই শান্তি পাওয়া যায়, যখন একজন মানুষ নিজের শেকড়ে ফিরে যায় মাটির কাছাকাছি, মানুষের ভালোবাসার কাছে।









