নিজ ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার, এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য।
বাকেরগঞ্জে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, চার জনের বিরূদ্ধে হত্যা মামলা। আটক ২
বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি: বরিশালের বাকেরগঞ্জে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী অন্ত ফকিরসহ (২৫) সহ চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।
নিহতের নানা মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক ঘটনার একদিন পর মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে নিহতের স্বামী অন্তু ফকিরকে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণকাঠি গ্রামের মোশাররফ ফকিরের বাড়িতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়।
নিহত গৃহবধূর নাম লামিয়া আক্তার নদী (২১)। তিনি কৃষ্ণকাঠি গ্রামের মোশাররফ ফকিরের ছেলে অন্ত ফকিরের স্ত্রী। খবর পেয়ে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ রাত ১২টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত গৃহবধূর শ্বাশুড়ি শিল্পী বেগম জানান, সোমবার পুত্রবধূকে ডাকতে গিয়ে তার টিনসেড বিল্ডিং ঘরের দক্ষিণ পাশের রুমে জানালা দিয়ে তাকিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলতে অবস্থায় দেখতে পান। ওইসময় তিনি দরজা ভেঙে নদীকে ঝুলন্ত থেকে নামিয়ে ডাক-চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এসে রাত রাত ১১টার দিকে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতের মা নাজমা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। সোমবার সকালেও নদী জামাই অন্তু ফকিরকে নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটে। অথচ ওই রাতেই স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ সবাই মিলে তাকে হত্যা করেছে। তার মেয়ের শরীরে আঘাতে চিহ্ন রয়েছে বলেও তিনি জানান। মেয়েকে হত্যা করে জামাই অন্তু ফকির পালিয়ে গেছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, সোমবার রাত ১১টার পর লামিয়া আক্তার নদী নামে এক গৃহবধূকে মৃত অবস্থায় তার শাশুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে তিনি পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
বাকেরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মরদেহের সুরতহাল করে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের নানা শামসুল হক বাদী হয়ে নামধারী ৩ থেকে ৪ জনকে ও অজ্ঞাত ২ থেকে ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা ইতোমধ্যে প্রধান আসামি ও তার মাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।

আজ থেকে প্রায় ১০০০ বছর আগে, অর্থাৎ একাদশ শতাব্দীতে, আমরা যে বাংলাকে চিনি, তার ভূপ্রকৃতি ও জনজীবন ছিল আজকের চেয়ে অনেক ভিন্ন। এই সময়টি ছিল বাংলার ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ, যখন পললভূমি ও নদীমাতৃক পরিবেশের সঙ্গে জনবসতি এবং সংস্কৃতির এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠছিল। এই নিবন্ধে আমরা সেই সময়ের বাংলার ভূপ্রকৃতি, মানুষের জীবনযাপন, পেশা, খাদ্যাভ্যাস এবং সামাজিক পরিবেশের একটি কাল্পনিক চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করব।
এক সহস্রাব্দ পূর্বে বাংলার ভূপ্রকৃতি ছিল মূলত একটি সক্রিয় এবং গতিশীল বদ্বীপ অঞ্চল। আজকের মতো সুসংহত ও সুদৃঢ় ভূমিরূপ তখনো গঠিত হয়নি। এর প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো ছিল:
১০০০ বছর আগে বাংলার জনজীবন ছিল প্রকৃতির সাথে গভীরভাবে সংযুক্ত। এখানকার সংস্কৃতি, পেশা এবং সামাজিক রীতিনীতি সবকিছুই গড়ে উঠেছিল নদী ও মাটির ওপর ভিত্তি করে।
১০০০ বছর আগের বাংলা ছিল এক জীবন্ত এবং পরিবর্তনশীল ভূখণ্ড, যেখানে প্রকৃতি ও মানুষের জীবনযাত্রা একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল। যদিও আজকের প্রযুক্তিনির্ভর জীবনে সেই সরলতার অনেকটাই বিলীন হয়ে গেছে, তবুও আমাদের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির গভীরে সেই প্রাচীন বাংলার ছাপ আজও খুঁজে পাওয়া যায়। এই কাল্পনিক চিত্রটি আমাদের সেই পূর্বপুরুষদের জীবনযাত্রা এবং প্রকৃতির সাথে তাদের নিবিড় সম্পর্কের একটি ধারণা দিতে সাহায্য করে।
১০০০ বছর আগে (একাদশ শতাব্দীতে) বাংলায় মূলত ইন্দো-আর্য এবং প্রোটো-অস্ট্রালয়েড (Proto-Australoid) গোষ্ঠীর সংমিশ্রণে গঠিত জনগোষ্ঠী বসবাস করত। এই সময়ে বাংলা অঞ্চলটি ছিল বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের অভিবাসন এবং মিশ্রণের ফল।
ঐতিহাসিক ও নৃতাত্ত্বিক গবেষণানুসারে, একাদশ শতাব্দীর বাংলায় প্রধানত দুটি প্রধান ধারার মানুষ বাস করত:
এরা ছিল বাংলার আদি বা প্রাচীনতম অধিবাসী।
এরা ছিল বাংলার প্রভাবশালী এবং সংখ্যাগুরু জনগোষ্ঠী, যাদের মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির মূল ভিত্তি তৈরি হয়েছিল।
হাজার বছর ধরে বিভিন্ন জাতির সংমিশ্রণ ঘটার পেছনে বেশ কিছু কারণ ছিল:
সংক্ষেপে, ১০০০ বছর আগে দক্ষিণ বাংলার মানুষজন ছিল আদিম প্রোটো-অস্ট্রালয়েডদের বংশধর এবং ইন্দো-আর্যদের একটি সফল মিশ্রণ। এই মিশ্রণের ফলেই বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতির জন্ম হয়েছিল।
নিখোঁজের ১১ বছর পর দেশে ফিরল ৪ সন্তানের জননী শান্তনা বাড়ি ফিরছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বেনাপোলে পৌঁছান শান্তনা। দুই দেশের ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শেষে সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে শান্তনাকে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। অবৈধ পথে ১১ বছর আগে ভারত গিয়ে কারাভোগ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশি এ নারী।
তার ছেলে-মেয়ে ও আত্মীয় স্বজন ১১ বছর পর কাছে পেয়ে খুব খুশি। মানসিকভাবে অসুস্থ শান্তনা খোঁজহীন হয়ে পড়েন আজ থেকে ১১ বছর আগে। পশ্চিমবঙ্গের ঈশ্বর সংকল্প নামের একটি বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ক তপন প্রধানের সহায়তায় বাংলাদেশের ঢাকার সংবাদকর্মী ও ফটো সাংবাদিক শামসুল হুদার মাধ্যমে শান্তনার খোঁজ পায় তার পরিবার। ফেরত আসা নারী শান্তনা বেগম গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর রাজিবপুর গ্রামের আবুল সালামের মেয়ে। তার স্বামী স্থানীয় একটি আদালতে মহুরীর কাজ করতেন। শান্তনার পরিবারের লোকজন জানান, শান্তনা মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল। দাম্পত্য জীবনে তিনি ৪টি পুত্র সন্তানের জননী। পরিবার থেকে শান্তনা প্রায় প্রায় নিখোঁজ হতেন।
পরে খোঁজ পাওয়া যেত। সর্বশেষ নিখোঁজের ১১ বছর পর ভারতের কানপুরের একটি আশ্রয় কেন্দ্রে গত বছরের ১৭ জুলাই তার সন্ধ্যান পান পশ্চিমবঙ্গের ঈশ্বর সংকল্প নামের একটি বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ক তপন প্রধান। তপন প্রধান এবং বাংলাদেশের ফটো সাংবাদিক শামসুল হুদার সহায়তায় শান্তনা আজ দেশে ফিরল।
এ নিয়ে ৫৬ জন নাগরিক দেশে ফিরলো সাংবাদিক শামসুল হুদার মাধ্যমে। বেনাপোল পোর্ট থানার সেকেন্ড অফিসার খাইরুল ইসলাম জানান, ‘ইমিগ্রেশনের পুলিশ আনুষ্ঠানিকতা শেষে শান্তনাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করেছে। সেখান থেকে শামসুল হুদার মাধ্যমে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামের এনজিও সংস্থা তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।