শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২
শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২

ভারত ও পাকিস্তানে মেঘ ভেঙে পরে বিপর্যয়

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫, ৩:২৭ পিএম ই-পেপার প্রিন্ট ভিউ
ভারত ও পাকিস্তানে মেঘ ভেঙে পরে বিপর্যয়

ভারত ও পাকিস্তানে মেঘ বিস্ফোরণ: পাহাড়ি অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা ও প্রাণহানি

পাকিস্তান: কায়বার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে বিপর্যয়

অগাস্টের মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তানের কায়বার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বুনার জেলায় হঠাৎ মেঘ ভেঙে প্রবল বর্ষণ নেমে আসে। অল্প সময়ের ভেতর কয়েক ঘণ্টার সমপরিমাণ বৃষ্টি নামায় পাহাড়ি স্রোত অস্বাভাবিক গতিতে নেমে আসে। এর ফলে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, এমনকি যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেসে যায়। স্থানীয় প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী কয়েক শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং অনেকেই এখনও নিখোঁজ। উদ্ধারকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ভূমিধস ও দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তন ও অস্বাভাবিক মৌসুমি প্রবণতা এই ধরনের দুর্যোগ বাড়িয়ে তুলছে।

ভারত: জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তওয়ার জেলায় দুঃসহ পরিস্থিতি

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তওয়ার জেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে ১৪ অগাস্ট মেঘ ভেঙে ভয়াবহ ফ্ল্যাশ ফ্লাড আঘাত হানে। মুহূর্তের মধ্যে নদীর পানি গ্রামে ঢুকে পড়ে, গ্রাস করে ঘরবাড়ি ও যাত্রাপথে থাকা শত শত মানুষকে। ঘটনাস্থলেই বহু মানুষ প্রাণ হারান, অনেকে নিখোঁজ হন। কয়েক শ মানুষ আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। ধর্মীয় যাত্রার কারণে ওই এলাকায় তখন ভিড় ছিল, ফলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাও বেড়ে যায়। স্থানীয় প্রশাসন, সেনা ও দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী এখনও উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

অতীতের দৃষ্টান্ত

এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। ২০০১ সালে ইসলামাবাদের কাছে এক দিনে অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে ৬০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছিলেন। ২০২১ সালেও জম্মু-কাশ্মীরের কিস্তওয়ারের অন্য এক গ্রামে মেঘ বিস্ফোরণে বহু প্রাণহানি ঘটে।

সারসংক্ষেপ

মেঘ বিস্ফোরণ এমন একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়, যা হঠাৎ এবং অতি স্বল্প সময়ে পাহাড়ি এলাকায় বিপুল ক্ষতি ডেকে আনে। ভারত ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা আবারও মনে করিয়ে দিলো—জলবায়ুর পরিবর্তন এই দুর্যোগকে আরও ঘনঘন ও ভয়াবহ করে তুলছে।

ভারত ও পাকিস্তানে মেঘ বিস্ফোরণ ঘটেছে। অনেকেই জানতে চাইছেন, আসলে মেঘ বিস্ফোরণ কী? তাদের জন্য ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো

মেঘ বিস্ফোরণ

🌩️ মেঘ বিস্ফোরণ কী?

মেঘ বিস্ফোরণ বা Cloudburst হলো এক ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এতে খুব অল্প সময়ে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় অস্বাভাবিক পরিমাণে প্রবল বৃষ্টি নেমে আসে।

🔹 মেঘ বিস্ফোরণের বৈশিষ্ট্য

  • সাধারণত ১০০ মিমি বা তার বেশি বৃষ্টিপাত এক ঘণ্টারও কম সময়ে ঘটে।
  • এটি ঘটে খুব সীমিত এলাকায়, প্রায় ২০–৩০ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে
  • এই প্রবল বর্ষণের কারণে হঠাৎ বন্যা, ভূমিধস, ঘরবাড়ি ও রাস্তা-ঘাট ভেসে যাওয়া ইত্যাদি ভয়াবহ ক্ষতি হয়।

🔹 কিভাবে ঘটে?

  • বায়ুমণ্ডলে প্রচুর আর্দ্রতা জমে গিয়ে মেঘ হঠাৎ ভারী হয়ে ভেঙে পড়ে।
  • পাহাড়ি অঞ্চলে ঠান্ডা ও গরম বাতাসের সংঘর্ষে মেঘ দ্রুত ঘনীভূত হয়।
  • এরপর হঠাৎ করেই মেঘ ফেটে অল্প সময়ে বিপুল পরিমাণ পানি নেমে আসে, যাকে বলা হয় মেঘ বিস্ফোরণ

🔹 কোথায় বেশি ঘটে?

মেঘ বিস্ফোরণ সাধারণত পাহাড়ি এলাকায় দেখা যায়। যেমন হিমালয় অঞ্চল, উত্তর ভারত, নেপাল এবং এ ধরনের ভূ-প্রকৃতির এলাকায়।

👉 সহজভাবে বলতে গেলে, মেঘ বিস্ফোরণ মানে হলো হঠাৎ প্রবল বৃষ্টিতে মেঘ ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়া, যা মুহূর্তেই বন্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে আনে।

৪৮ ঘণ্টায় প্লাবিত হতে পারে ৭ জেলার নিম্নাঞ্চল | নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি নিয়ে সতর্কতা

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর, ২০২৫, ৪:৪৩ পিএম
৪৮ ঘণ্টায় প্লাবিত হতে পারে ৭ জেলার নিম্নাঞ্চল | নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি নিয়ে সতর্কতা

আবহাওয়া বাংলাদেশের নদ-নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত ৭ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

গভীর নিম্নচাপের প্রভাব

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপ উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর ফলে সাগর উত্তাল অবস্থায় রয়েছে এবং আগামী দুই দিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই বর্ষণ নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারে।

কোন কোন জেলায় প্রভাব পড়তে পারে

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) প্রকাশিত পূর্বাভাস অনুযায়ী—

  • চট্টগ্রাম বিভাগ: গোমতী, মুহুরী, সেলোনিয়া ও ফেনী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী দুই দিনে এই নদীগুলোয় পানি আরও বাড়তে পারে। ফেনী জেলায় মুহুরী, সেলোনিয়া ও ফেনী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। একই সময়ে চট্টগ্রাম জেলার ফেনী নদী সতর্কসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হয়ে নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত করতে পারে।
  • রংপুর বিভাগ: তিস্তা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামী তিন দিনে তা সতর্কসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে লালমনিরহাট ও নীলফামারীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। অন্যদিকে ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সাময়িকভাবে কমলেও পুনরায় বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • ময়মনসিংহ বিভাগ: কংস নদীর পানি কমলেও সোমেশ্বরী ও ভুগাই নদীর পানি সমতল আগামী তিন দিনে বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোণার নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • উপকূলীয় জেলা: বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীগুলোয় স্বাভাবিকের চেয়ে উঁচু জোয়ার বিরাজ করছে, যা আগামী দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

সম্ভাব্য পরিস্থিতি

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা হবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সময়। তবে তৃতীয় দিনের পর অনেক নদীর পানি হ্রাস পেতে পারে।

করণীয়

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে হবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে।

জমকালো আয়োজনে “দৈনিক রাজশাহীর আলো”র ১৫ বর্ষপূর্তি উদযাপন

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৫৬ পিএম
জমকালো আয়োজনে “দৈনিক রাজশাহীর আলো”র ১৫ বর্ষপূর্তি উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক: “সত্যের সন্ধানে” স্লোগানকে ধারণ করে রাজশাহীর বহুল প্রচারিত দৈনিক রাজশাহীর আলো পত্রিকার ১৫ বর্ষপূর্তি ও ১৬তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে কেক কাটা, গুণিজন সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টায় নগরীর অনুরাগ কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আঞ্চলিক সম্পাদক পরিষদ (কেন্দ্রীয় কমিটি) ঢাকা সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক রাজশাহীর আলো’র সম্পাদক আজিবার রহমান। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মীর তোফায়েল হোসেন।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মো. আরেফিন, বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সমাজসেবক লায়ন্স ডা. এ. এম- এ মানান, বৃহত্তর ফরিদপুর জনকল্যাণ সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাসেল মিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মো. শাহাবুদ্দিন, রাজশাহী প্রেসক্লাবের জয়েন্ট সেক্রেটারি আবু কাওসার মাখন।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর আলো’র নির্বাহী সম্পাদক ও রাজশাহী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আব্দুল মুগনি (নিরো) ও
রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব সভাপতি রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক সামসুল ইসলাম, বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক ও আরটিভি প্রতিনিধি মোস্তফিজ রকি, মোহনপুর মডেল প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ও ডেইলি ইন্ডাস্ট্রি পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মো. শাহিন সাগর, মহানগর জাসাস সভাপতি এ্যাড. রজব আলী, রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাব প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজ জীবন, কোষাধক্ষ্য মামুনুর রশিদ, দপ্তর সম্পাদক আরেফিন নিহাল, নির্বাহী সদস্য মশিউর রহমান, সদস্য সিরাজুল ইসলাম রনি, এবং রাজশাহীর আলো পত্রিকার উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও বিশাল কনফেকশনারির স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব আবু বাক্কার আলী, যুগ্ম ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজি আসাদুর রহমান টিটু, রাজশাহীর আলো পত্রিকার স্পোর্টস রিপোর্টার রফিকুল ইসলাম স্বাধীন, জাতীয় মৎস্যজীবি সমিতি বাংলাদেশ সভাপতি সোলাইমান।

বক্তারা দৈনিক রাজশাহীর আলো পত্রিকার বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনগুলোতেও পত্রিকাটি সত্য ও ন্যায়ের পথে অটল থেকে পাঠকের আস্থা অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠান শেষে কেক কাটা, গুণিজন সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে বর্ষপূর্তির এ আয়োজন সম্পন্ন হয়।

পিআর পদ্ধতি যারা চান তাদের জনগণের উপর আস্থা নেই: পারভেজ

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:৪৪ পিএম
পিআর পদ্ধতি যারা চান তাদের জনগণের উপর আস্থা নেই: পারভেজ

সোহেল সিকদার মাদারীপুর।।

কুনিয়া ইউনিয়ন বি এন পি’র আয়োজনে এক উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন মাদারীপুর রাজৈর–০২ আসনের ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও মাদারীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ (ভিপি)। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার, মাদারীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ–সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শিমুল, কুনিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বাদশা মিয়া, কুনিয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক বাবলু হাওলাদার, মাদারীপুর জেলা ছাত্রদলের মো. ইকবাল হোসাইনসহ বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ (ভিপি) বক্তব্যে বলেন, “মদিনার ইসলামই আমাদের আমাদের ইসলাম—এর বাইরে আর কোনো ইসলামের প্রয়োজন নেই।” তিনি আরও বলেন, “পিআর পদ্ধতি যারা চান, তাদের জনগণের উপর আস্থা নেই।”