বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২
বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২

৯০ দশকের তিন তারকা: জেমস, আইয়ুব বাচ্চু ও হাসান – বাংলার সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তি

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২:৫০ পিএম ই-পেপার প্রিন্ট ভিউ
৯০ দশকের তিন তারকা: জেমস, আইয়ুব বাচ্চু ও হাসান – বাংলার সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তি

বাংলাদেশের সঙ্গীত ইতিহাসে ৯০-এর দশক ছিল সোনালি যুগ। এই সময়ে জন্ম নেয় এমন সব গান, যা আজও প্রজন্মের পর প্রজন্মকে মুগ্ধ করে। ব্যান্ড সঙ্গীতের জোয়ার বইয়ে দেন তিন কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী – জেমস, আইয়ুব বাচ্চু এবং হাসান। তারা শুধু সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন না, বরং এক একটি যুগের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, যা আজও শ্রোতাদের হৃদয়ে অমর।

জেমস – নগর বাউল

আসল নাম: ফারুক মাহফুজ আনাম
শুরু ব্যান্ড: ফিলিংস (পরে “নগর বাউল” নামে পরিচিত)

জেমসের কণ্ঠের মাদকতা এবং স্টেজ পারফরম্যান্স তাকে বাংলার “গিটার গুরু” ও “নগর বাউল” উপাধি এনে দিয়েছে। তিনি ৮০ দশকের শেষের দিকে ফিলিংস ব্যান্ডে যোগ দেন এবং ৯০-এর দশকে একের পর এক হিট গান দিয়ে শীর্ষে পৌঁছে যান।

উল্লেখযোগ্য ১০টি গান:

  1. দুঃখিনী দুঃখ করো না
  2. বাবা কতদিন
  3. মাঝরাতে চাঁদ
  4. মা
  5. জ্বালা জ্বালা
  6. তোর প্রেমে
  7. বেদনা মিশ্রিত রাত
  8. কলিজার ভিতর
  9. সেলাই দিদি মনি
  10. প্রেমের বান্ধন

দর্শকদের মতে, জেমস শুধু গায়ক নন – তিনি এক জীবনধারার প্রতীক, যিনি শহরের প্রেম-বিরহ ও সংগ্রামের গল্পকে গানে রূপ দিয়েছেন।


আইয়ুব বাচ্চু – বাংলার গিটার জাদুকর

আসল নাম: আইয়ুব বাচ্চু
শুরু ব্যান্ড: প্রথমে ফিলিংস, পরে সোলস, অবশেষে নিজের ব্যান্ড এলআরবি (Love Runs Blind) গঠন।

আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন বাংলার ব্যান্ড সঙ্গীতের অন্যতম স্তম্ভ। গিটারের অসাধারণ দক্ষতা ও সুমধুর কণ্ঠ তাকে অন্য সবার থেকে আলাদা করেছে। তিনি ১৮ অক্টোবর ২০১৮ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, যা সমগ্র সঙ্গীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নামিয়ে আনে।

উল্লেখযোগ্য ১০টি গান:

  1. চলো বদলে যাই
  2. রুপালী গিটার
  3. সেই তুমি
  4. কষ্ট পেতে ভালোবাসি
  5. কান্না
  6. আবার এলো যে সন্ধ্যা
  7. ফেরারী এই মন
  8. হকার
  9. শোভন
  10. হকারের গান

দর্শকরা বলেন, বাচ্চুর গান যেন জীবনের গল্প – প্রেম, বিচ্ছেদ, বন্ধুত্ব, স্বপ্ন আর সংগ্রামের এক অমূল্য দলিল।


হাসান – আর্ক ব্যান্ডের প্রাণভোমরা

আসল নাম: হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল
শুরু ব্যান্ড: আর্ক

হাসানের কণ্ঠে ছিল উচ্ছ্বাস আর গভীর আবেগ। আর্ক ব্যান্ডের গানগুলো ৯০ দশকের তরুণদের জীবনের অংশ হয়ে গিয়েছিল। তার গানগুলোতে ছিল প্রেম, বিচ্ছেদ এবং জীবনের অনাবিল গল্প।

উল্লেখযোগ্য ১০টি গান:

  1. একাকীত্ব
  2. সুইটি
  3. চলো না ঘুরে আসি
  4. এতদিন পরে প্রশ্ন জাগে
  5. হৃদয় কাঁদে
  6. গাই গাই
  7. ও প্রিয় তুমি কোথায়
  8. এতো কষ্ট কেনো ভালোবাসায়
  9. ভালোবাসি তোমায়
  10. আমার সপ্নে

দর্শকদের মতে, হাসান ছিলেন এমন একজন কণ্ঠশিল্পী যিনি গানে গানে জীবনের প্রতিটি অনুভূতিকে স্পর্শ করেছেন।


দর্শকদের অনুভূতি

এই তিন শিল্পী শুধু সঙ্গীত পরিবেশন করেননি, বরং এক প্রজন্মের স্বপ্ন, ভালোবাসা, বেদনা ও উদ্দীপনাকে সুরে বেঁধে দিয়েছেন। তাদের গান আজও কনসার্ট, রেডিও এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সমান জনপ্রিয়। যখন এই গানগুলো বাজে, শ্রোতারা এক মুহূর্তে ফিরে যান সেই সোনালি ৯০ দশকের দিনে।

জেমস, আইয়ুব বাচ্চু ও হাসান – তারা তিনজনই বাংলাদেশের সঙ্গীত ইতিহাসে অমর নাম। তাদের গান ও অবদান প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে যাবে, আর তারা চিরকাল বেঁচে থাকবেন শ্রোতাদের হৃদয়ে।

বরিশালে আবাসিক হোটেল পপুলার থেকে ১৬ নারী-পুরুষ আটক

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৯:৩৩ পিএম
বরিশালে আবাসিক হোটেল পপুলার থেকে ১৬ নারী-পুরুষ আটক

নিজস্ব প্রতিবেদকব।। রিশাল নগরীর পোর্ট রোড এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১৬ নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে নগর‌ীর পোর্ট রোড এলাকার পপুলার আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানার আওতাধীন স্টিমারঘাট ফাঁড়ি ইনচার্জ (এসআই) গোলাম মোঃ নাসিম।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন নগরীর পোর্ট রোডে অবস্থিত পপুলার হোটেলে অনৈতিক কার্যকলাপ চলছে। তারই সূত্র ধরে বুধবার রাতে ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১৬ নারী-পুরুষকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, নগরীর পোর্ট রোড ও লঞ্চঘাট এলাকার আবাসিক হোটেলগুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিন ধরে। সে মোতাবেক বুধবার রাতে পপুলার হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১৬ নারী-পুরুষকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নগরীর কোন হোটেলেই অসামাজিক কার্যকলাপ চলতে দেওয়া হবে না। এমন অভিযোগ পেলে অভিযান চালানো হবে।’

বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় লেখক-কবি ও সাংবাদিক এস এম পলাশ গুরুতর আহত

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ২:৫১ পিএম
বাকেরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় লেখক-কবি ও সাংবাদিক এস এম পলাশ গুরুতর আহত

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের বাকেরগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, লেখক, কবি, সাংবাদিক, পরিচালক রূপসী টিভি, বাংলা টিভির প্রতিনিধি এবং ঢাকা সংবাদ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক এস এম পলাশ সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন।

শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে বাকেরগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডের উত্তর পাশে যুগি বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশার সামনে হঠাৎ একটি কুকুর পড়ে গেলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। এ সময় গাড়িটি এস এম পলাশের মোটরসাইকেলের উপর উঠে যায়।

দুর্ঘটনায় তার একটি হাত ভেঙে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

বর্তমানে তিনি বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেলে অর্থোপেডিক বিভাগে  চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার দ্রুত সুস্থতা কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে।

নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তোলার নির্দেশদাতা গ্রেপ্তার

ডেস্ক নিউজ প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ৩:৩৭ পিএম
নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তোলার নির্দেশদাতা গ্রেপ্তার

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল হক ওরফে নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশদাতা আব্দুল লতিফ মোল্লা (৩৫) কে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার লতিফ মোল্লা মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড় ঠাকুরকান্দি গ্রামের মাওলানা বাহাউদ্দিনের ছেলে। এ ছাড়া একই মামলায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম অভি মন্ডল রঞ্জু (২৯)। তিনি গোয়ালন্দের আলম চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা এবং বিল্লাল মন্ডলের ছেলে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব জানান, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার আসামি অপু কাজীর ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে লতিফ মোল্লার নাম উঠে আসে। তার নির্দেশেই কবর থেকে নুরাল পাগলার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছিল। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে মানিকগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, লতিফ মোল্লা নুরাল পাগলার বাড়ি ও দরবারে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, জখম, হত্যা এবং কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি। এ মামলায় এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্য আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এছাড়া পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর মামলায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে সোমবার গভীর রাতে নুরাল পাগলার ভক্ত নিহত রাসেল মোল্লার বাবা আজাদ মোল্লা বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাতনামা সাড়ে তিন থেকে চার হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।