Uncategorized

উপজেলা চেয়ারম্যান সরোয়ারের বাড়িতে স্ত্রী স্বীকৃতির দাবি নিয়ে কৃষি কর্মকর্তা মুক্তা

এম জাফরান হারুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী:: পটুয়াখালীতে সামাজিক ভাবে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবি নিয়ে পটুয়াখালী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এ্যাড: গোলাম সরোয়ার এর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন বরিশাল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মার্জিন আরা মুক্তা।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে পৌর শহরের পুরান বাজার এলাকায় গোলাম সরোয়ার সিপাই এর বাড়ির সামনে অবস্থান নেন তিনি। তবে বাসা তালাবদ্ধ থাকায় স্থানীয়দের সহায়তায় দুপুরে তিনি বাসার ভিতরে প্রবেশ করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মার্জিন আরা মুক্তা দীর্ঘদিন পটুয়াখালী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং ওই সময়ে উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে তিনি বরিশাল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।

শুক্রবার সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে পুরান বাজার এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড: গোলাম সরোয়ারের বাসা তালাবদ্ধ এবং বাসার অপর প্রান্তে একটি সার বীজের দোকানে বসে মোবাইলে চার্জ দিচ্ছেন মার্জিন আরা মুক্তা, পরে জুম্মার নামাজের সময় হলে তিনি দোকান থেকে বেড়িয়ে গোলাম সরোয়ারের তালাবদ্ধ বাসার সামনে বসে বৃষ্টিতে ভিজতে থাকেন।

পরে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে বাসার দরজা খুলে ভিতরে যেতে বললে তিনি বলেন, এটা তার (গোলাম সরোয়ার) এর এবং তার প্রথম স্ত্রীর বাসা এখানে ঢুকবো না। পরে ইজ্জতহানি হচ্ছে এমন বুঝিয়ে তাকে ধরে বাসার ভিতরে প্রবেশ করান। এ সময়ে বরিশাল উপজেলা কর্মকর্তা মার্জিন আরা মুক্তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এখন আমাদের দুজনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। আমি আমার যুদ্ধ চালাচ্ছি আমার সম্মান বাঁচানোর।
সে তার যুদ্ধ (গোলাম সরোয়ার) তার যুদ্ধ চালাচ্ছে আমাকে এরিয়ে যাওয়ার। তার বিয়ের আগেই বিবেচনা করা উচিৎ ছিল কিন্তু সে তা করেনি। তার সেই দায়বদ্ধতা মেনে নিয়ে আমি এতদিন প্রতিটা সেকেন্ড অপেক্ষা করেছি যার কোন মুল্যায়ন তার কাছে নাই। আর এই মূহুর্তে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে তার স্বীকৃতি আমার অত্যন্ত প্রয়োজন। যদি তা না দেয় এ ব্যর্থ জীবন নিয়ে আমি সামনে টানবো না এই হচ্ছে মূল ম্যাসেজ।

তিনি আরও বলেন, আমি এখানে থাকা অবস্থায় বিয়ে হয়েছে অনেক আগেই এবং বিয়ে হয়েছে তা সত্যি। এখন যে অবস্থায় আছি তাতে তার ও সম্মান যাচ্ছে আমারো যাচ্ছে কিন্তু তাতে কিছু করার নেই এখন আগানো আমার পক্ষে সম্ভব না, আমি এ পরিচয় নিয়ে বাঁচতে পারবো না।

স্ত্রী স্বীকৃতি চাইলে তার বাসায় যাচ্ছেন না কেনো জানতে চাইলে কৃষি কর্মকর্তা বলেন, তিনি দরজা বন্ধ করে রেখেছে যাতে আমি ঢুকতে না পারি গত পরশুদিন ও তাই করেছে।

এবিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার বলেন, তিনি আমার দ্বিতীয় স্ত্রী, এক বছর চার মাস আগে আমার বোনের মধ্যস্থতায় বিয়ে হয়েছে। আমি খুব সকালে বাসা থেকে বের হয়েছি তাই বাসা বন্ধ পেয়ে তিনি সামনে দাঁড়িয়ে ছিল এ ব্যাপারটি নিয়ে আপনারা কিছু না করলেই ভাল হয় এটা আমার পারিবারিক বিষয় বলে জানান তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button